२छदिासक्र७] । 3 * * করি এরূপ আর কেহই ছিল ন চারিদিকই শূন্য, ধুধু করিতেছে ; যেদিকে চাই “সেইদিক্ শুন্য দেখি,-সেইদিকেই মরুভূমি ধুধু করিতেছে! পিত্তা নাই, মাতা নাই, বন্ধুবান্ধব কেহ নাই, জ্ঞাতিকুটুম্ব কেহ নাই। প্রণয়িনী কালগ্রাসে পতিত হইয়াছেন,–একমাত্র কন্য। অন্তল জলে ভাসিতেছে— এইরূপ পূৰ্ব্বস্মৃতিতে তামার হৃদয় ব্যথিত ও বিদীর্ণ হইতে লাগিল,—নদীতীরে বলিয়৷ উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিলাম । “সে দুঃখ রোদনে শান্ত হইল না,—প্রাতঃকাল হইতে সন্ধ্যা পর্য্যত্ত রোদন করিলাম । সন্ধ্যার সময় অার সহ না করিতে পারিয়া আত্মহত্যার স্থির সংকল্প করিলাম। যাহার এ পৃথিবীতে কেহ নাই, যে মরিলে শোক করিবার কেহ নাই, অথচ নিজ অসহ শোক বিস্মৃত হইতে পারে, তাহার আত্মহত্যার বাধা কি ? “জলে মগ্ন হইবায় উপক্রম করিতেছি, এমন সময় পশ্চাৎ হইতে স্কন্ধে কে হাত দিলেন । ফিরিরা দেখিলাম, আমার প্রাচীন গুরু দণ্ডায়মান রহিয়াছেন ।
- অতি গম্ভীরস্বরে বলিলেন-- * "এক্ষণও মায়াজাল ছিন্ন হয় নাই ?—এক্ষণও জ্ঞান বিকাশ হয় নাই ?–চন্দ্রশেখর অজ্ঞানের কার্য্য করিও না, আমার সঙ্গে আইস ।”
“ আমি সঙ্গে সঙ্গে এই মহেশ্বর-মন্দিরে আসিলাম । পুনরায় যোগ উপাসনার প্রবৃত্ত হইলাম, গুরুর মৃত্যুর পর অবধি আমিও মহেশ্বর-মন্দিরের মহাত্ত হইয়াছি ” এইরূপ কথোপকথন হইতে হইতে সহসা একজন বালক আসিয়া মহাশ্বেতাকে মৃদুস্বরে বলিল, “বিশ্বেশ্বরী পাগলিনী আপনার সহিত দেখা করিবার জন্য দণ্ডায়মান আছে।" মহাশ্বেতা আতি দ্রুতবেগে সেইদিকে চলিলেন, কিছু পথ যাইয়া পাগলিনীকে দেখিতে পাইলেন । তাহার ভীষণ অাকার অধিকতর ভীষণ হইয়াছে, সমস্ত শরীর ভয়ে কঁপিতেছে, বলিল, “মহাশ্বেত, এইক্ষণেই পলায়ন কর, শত্রু এই আশ্রমে আসিয়াছে ।” to মহাশ্বেত বলিলেন, “ পাগলিনি ! তুমি বিপদকালে চিরকালই আমার বন্ধু, তোমার ঋণ কিরূপে শোধ করিব ?” ... * পাগ। “এক্ষণে আপন বিপদ হইতে উদ্ধারের চেষ্টা দেখ।” . মহা । “ কোথার পলাইব ?” পাগ। “ রুদ্রপুরে বা ইচ্ছাপুরে, যথায় ইচ্ছ,—শীঘ্ৰ পলায়ন কর K や -"