পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిg বঙ্গবিজেতা । গানে যোগ দিতেছে । সমস্ত জগৎ অণলোকময় ও আনন্দময় । এরূপ হতভাগিনী কে আছে, যে এই আনন্দের সময় শোকবিহবলা হইয়া রহিয়াছে ?—মনুষ্যই মনুষ্যের দুঃখের কারণ । সেই প্রকাগু হুর্গের মধ্যে একট ঘর ছিল, তথায় আনন্দদায়ী স্থৰ্য্যরশ্মি প্রবেশ করিতে পারিত না । মৃত্তিকার অভ্যস্তরে একট ভীষণ প্রকোষ্ঠ ছিল, তথায় শকুনি ইচ্ছামত বিদ্রোহী প্রজা বা পরম শক্রকে কখন কখন বদ্ধ করিয়া রাখিতেন । সে গৃঙ্গের ভিত্তি আনন্দ বা হাস্যের ধ্বনিতে কথন প্রতিধ্বনিত হয় নাই, – সে গৃহের অভ্যুত্তরে সুখ অথবা ভরসা কখন প্রবেশ করে নাই, তথায় কেবলমাত্র হতভাগ্য বন্দীদিগের ক্ৰন্দনধ্বনি শ্রত হইত, অশ্রুবিন্দু দৃষ্ট হইত। গৃহতল মৃত্তিকাময়, অন্ধকার নিবারণার্থ একটা হীনজ্যোতিঃ প্রদীপ দিবারাত্রি জ্বলিত । সেই প্রদীপালোকে সেই অসুখজনক গৃহতলে মহাশ্বেতা ও সরল। শরন করিয়া রহিয়াছে। সরল নিদ্রিত ;–মাতৃক্রোড়ে শিশুর ন্যার মহাশ্বেতার পার্শ্বে বালিকা নিদ্রিত রহিয়াছে, সমস্ত রাত্রি জাগরণের পর সরলা নিদ্রিত রহিয়াছে। সরলার শরীর ক্ষীণ হইয়াছে ; চক্ষু দুইটী কোটরে প্রবিঃ হইয়াছে ; মুখমণ্ডলে পূর্বের ন্যায় প্রফুল্লত বা বালিকাভাব দেখা যাইতেছে না, সরলা অণুর বালিকা নাই,—সহসী অসীম শোকসাগরে নিক্ষিপ্ত হইয়া বালিকসুলভ মুখস্বপ্ন হইতে জাগরিত হইয়াছে। সে জাগরণ কি ক্লেশদায়ী ! মুখেয় আশা-ভরসা একেবারে দূর হয়, মানব-জীবনের প্রকৃত অবস্থা একেবারে সম্মুখীন হয় । - সরলার পার্শ্বে মহাশ্বেত শয়ন করিয়া রহিয়াছেন,-অনিদ্র হইয়। শয়ন করিয়া রহিয়াছেন । সে ভীষণ স্থানে তাহtয় মুখে যে ভীষণ ভাব লক্ষিত হইতেছে তাহ বর্ণনাতীত,--সে ভাব ভয়ের নহে, দুঃখের নহে, কেবল চিম্ভার নহে । তাহার হৃদয়ের তামামুষিক অভিমান অদ্য ভীষণ করাগারে পরাকাষ্ঠী প্রাপ্ত হইয়াছিল, নরন ধক্ ধকৃ করিয়৷ জলিতেছিল ; যেন অবারিভ অগ্নিকণা বহির্গত হইতেছে ;—হুক্ষম ওষ্ঠের উপর দত্ত চাপিয়: রহিয়াছে ; সমস্ত মুখমণ্ডলে উন্মত্ততার চিন্তু লক্ষিত হইতেছে। ললাটের শির স্ফীত হইয়া উঠিয়াছে, নয়ন নিমেষশূন্য, হৃদয় পূৰ্ব্বস্তৃতি ও চিত্তাতরঙ্গে প্লাবিত হইতেছে । ক্ষণেক পর সরল জাগিল । উঠিয়া মাতার মুখমণ্ডলে অপরূপ ভীষণভাব লক্ষ্য করিয়া ভীত হইয়। বলিল, “ মা, সমস্ত রাত্রি তোমার নিদ্ধ। मू नोंझे ?” -- इ, झे ?