• বঙ্গবিজেতা । ఫి হইয়াছে, তা মা আমি জানিতাম না ; ব্রহ্মচারী ঠাকুর মহাভারতের কথ কহিতেছিলেন, তাহাই শুনিতেছিলাম । আমার বোধ হয়, মহাভারতের কথা শুনিলে তামি সমস্ত রাত্রি জাগিতে পারি।” “ ন’ মা, সমস্ত রাত্রি জাগিলে পাড় হইবে।” এই বলিয়। মাতা সরলাকে অলিঙ্গন করিয়া পুনরায় মুখচুম্বন করিলেন । সরল প্রদীপ লইয়া যখন BBBB BBBBBSDBB BB BBBBBBBBBB BBBBB BBB দিকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন ও অদ্ধক্ষ টবচনে বলিলেন, “তুমি আমার সৰ্ব্বস্ব, বিধাতা কি বলশেভিার নিমিও এই অমূল্য রত্ন, এই অতুল্য পুপ স্বজন করিয়াছিলেন ?? বলিতে বলিতে যে ঘরে ব্রহ্মচারী ছিলেন, তথায় গমন কfরলেন । সরলা শয়নগ্রহে যাইয়া প্রদীপ রাখিল । মাত শয়ন করিতে আসিবেন বলিয়া দ্বার রুদ্ধ করিল না, প্রদীপও নিৰ্ব্বাণ করিল না । তাহীর বয়ঃক্রম পঞ্চদশ বর্ষ হইবে, কিন্তু এখনও যৌবন সম্যক্রূপে আবির্ভূত হয় নাই, মুখ দেখিলে এখনও বালিক। বলিয়া বোধ হয়। অবয়ব বা মুপে বিশেষ রূপের ছটা বা লাবণ্য কিছুই ছিল না ; কবিগণ যেরূপ স্তম্বঙ্গ রূপপীদিগের বর্ণনা করিতে ভালবাসেন, আমাদের সরলর সে অপরূপ সৌন্দয্যের কিছুই ছিল না ; তবে শরীর কোমলতাপূর্ণ ও মুখমণ্ডলে এক স্বৰ্গীয় মধুরমা ও সরলতা বিরাজমনি রহিয়াছে,—দেখিলেই বোধ হয়, যেম বালিকাইঁদয়ে কুটিলতার লেশমাত্র নাই, কেবল স্বশীলতা, সরল না ও মানব-সাধারণের প্রতি পবিত্র প্রেম এবং স্নেহরশি বিরাজ করিতেছে। বিশেয সৌন্দর্ঘ্যের মধ্যে তাঙ্গার মাতার মত নয়ন দুটা সমুজ্জ্বল; সমুজ্জল, কিন্তু শান্ত, সরল ও কোমলতাপূর্ণ। ওষ্ঠস্বয় বিশেষ সুচিকুণ নহে, কিন্তু দেখিলে বোধ হয়, পরিমল-মিষ্টতার অধিীর, তার সদা সুহাদিতে বিকশিত। গুচ্ছ গুচ্ছ নিবিড় কৃষ্ণ কেশ বদনমণ্ডলের সরল কিশোর ভাব অধিকতর বর্দ্ধন করিতেছে। সৰ্ব্বাঙ্গ কোমল ও সুস্নিগ্ধ । সমস্ত দিন পরিশ্রমের পর শম্tয় শয়ন করিতে না করিতে নিদ্রার আবির্ভাব হইল, প্রস্ফুটিত পদ্ম যেন পুনরায় মুকুলিত হইয়। কোরকভাব ধারণ করিল। . যে কুটীরে মাতা ও কনা বাস করিতেন, সে কুটার অতিশয় সীমান্য। পল্লীগ্রামের অন্যান্য ঘর যে প্রকার, এ কুটীরও সেই প্রকার। ক্ষুদ্র একট পাকশাল ও একটা গোশীল ছিল, এতদ্ভিন্ন দুষ্টট বড় ঘর ছিল, তাহার মধ্যে একটতে মাতা ও কন্যা ও একমাত্র দাসী শয়ন করিত, ও অপরটাতে দিনের বেলা কৰ্ম্ম কাৰ্য্য হইত, ও কোন অতিথি আসিলে তুহাতেই শয্যt .--
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।