পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

多隐邨 शक्रश्रिङ्गज्र ! এমন সময়ে ঝনৃঝন শব্দে কারাগারের দ্বার খুলিল। মহাশ্বেতা দ্বারের দিকে একবার চাহিয়াও দেখিলেন না। সরল মুখ ফিরাইয় দেখিল, একজন নিরুপমা সুন্দরী দ্বারদেশে দণ্ডায়মান আছেন ;–বলা আবশুক নাই যে, সে সুন্দরী বিমলা. বিমলা কারাগারের ভিতর যাহা দেখিলেন, তাহাতে র্তাহার হৃদয় একেবারে দুঃখে অধীর হইল । দেখিলেন, পূৰ্ব্বদিনের খাদ্যদ্রব্য এখনও স্পর্শ করা হর নাই, একজন বৃদ্ধ স্ত্রীলোক প্রায় উন্মত্তের ন্যায় হইয়াছেন, পার্শ্বে একটা তাহার বালিকা বসিয়া নীরবে রোদন করিতেছে । বিমলা আপন চক্ষু মুছিয়া, মহাশ্বেতাকে লক্ষ্য করিয়৷ বলিলেন, “মাতঃ, আপনাদিগের কষ্ট দেখিয়া আমার হৃদয় বিদ্বীর্ণ হইতেছে, আপমারা বাহিরে আসুন ।” রমণীকণ্ঠনিঃস্থত করুণস্বচক কথা শুনিয়া মহাশ্বেতা সেইদিকে চাহিলেন;–জিজ্ঞাসা করিলেন, “ তুমি কে ?” বিমল উত্তর করিলেন, “ এই দুর্গাধিপতি সতীশচন্দ্রের দুহিতা, আমার নাম বিমলা ।” ক্রোধে মহাশ্বেত শিহরিয়া উঠিলেন । ক্ষণেক পয় ধীরে ধীরে বলিলেন, “তোমার পিতাকে বলিও, আমাদের তার অধিক দিন বাচিবার নাই,—যে কয়দিন আছি, আমাদিগকে নির্জনে থাকিতে দাও, তোমরা আসিয়া বিরক্ত করিও না ।” অন্য সময় এরূপ উত্তর পাইলে মানিনী বিমলা ক্রুদ্ধ হইতেন, কিন্তু বন্দীদিগের অবস্থা দেখিয়া তাহার হৃদয়ে ক্রোধের লেশমাত্র উদিত হয় নাই। তিনি ধীরে ধীরে উত্তর করিলেন—

  • আমার পিতার উপর মিথ্যা দোষারোপ করিতেছেন, তিনি এ বিষয়ের বিন্দুবিসর্গও জানেন না। আমি আপনাদিগকে বিরক্ত করিতে আইসি নাই, এই জঘন্য ঘর হইতে অন্য ঘরে লইয়া যাইতে আসিয়াছি।”

মহাশ্বেত পুনরায় বলিলেন— “ বন্দীর এইরূপ ঘরে থাকাই ভাল,—যাহার চরণে শিকল, তাহার সে শিকল সুবর্ণের না হইয়া লৌহের হওয়াই উপযুক্ত ! যাও, আর দয়াপ্রকাশে অবশ্যক নাই, হতভাগিনীদিগের কষ্টের উপর আর উপহাস করিও না ।” বিমলা সজলনয়নে উত্তর করিলেন— “ মাতঃ, আমি যে আপনাদিগকে উপহাস করিতে আইসি নাই, জগদ্বীуя জানেন "–