ৰঙ্গবিজেতা । ኳኳፃ বিমলা আরও বলিতেন, কিন্তু “মহাশ্বেত ভীষণস্বরে বলিলেন“জগদীশ্বরের নাম করিও না,—তোমার পিতা যেন সে পবিত্র নাম কখনও গ্ৰহণ না করেন, নরাধমের বংশে যেন সে নাম কেহ গ্ৰহণ করিয়া অপবিত্র না করে ।” বিমলা গম্ভীরস্বরে বলিলেন“ মাতঃ আপনি আমাদিগকে অন্যায় তিরস্কার করিতেছেন। আপনি যেরূপ হতভাগিনী, আমিও সেইরূপ,—হতভাগিনীর জগদীশ্বরের নাম ভিন্ন আর কি আছে —মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত সেই নাম স্মরণ করিব,—এই দুঃখপরিপূর্ণ ংসারে হতভাগিনীর সেই নামই একমাত্র অবলম্বন, একমাত্র সুখ ।” সে পবিত্র নাম শুনিয়া মহাশ্বেতার ক্রোধ একেবারে লীন হইল। বিমলার ঈশ্বর-ভক্তি দেখিয়া মহাশ্বেতা একদৃষ্ট্রে র্তাহার দিকে দেখিতে লাগিলেন। দেখিলেন, দেবকন্যার মত সেই উন্নতপ্রকৃতি রমণীরত্ব দণ্ডায়মান আছেন। নয়নে অশ্রজল ; মুখে স্বৰ্গীয় প্রেম ও ঈশ্বরে ভক্তি ভিন্ন আর কিছুই লক্ষিত হইতেছে না। মহাশ্বেতা ধীরে ধীরে বলিতে লাগিলেন— “ বিমলা, ক্ষমা কর ; না জানিয়া তিরস্কার করিয়াছি, দুঃখে বিবেচনাশক্তির লোপ ੇ " বিমলা মহাশ্বেতাকে আর কথা বলিতে দিলেন না । নিকটে আসিয়া হস্তধারণ করিয়৷ বলিলেন— “ মাতঃ, ক্ষমা প্রার্থনার কিছুই কারণ নাই ;—আপনিও দুঃখিনী, আমিও অল্পদুঃখিনী নহি, আমার অবস্থা জানিলে আপনি আমার প্রতিও দয়া করিবেন ।” মহাশ্বেতা বিমলাকে সস্নেহ আলিঙ্গন করিলেন, দুই জনে নীরবে রোদন করিতে লাগিলেন ;-হতভাগিনী সরলাও রোদন করিতে লাগিল । ক্ষণেক পর মহাশ্বেত বলিলেন “ বিমলা তোমার দুঃখ আমি বুঝিতে পারিতেছি। পিতার পাপকৰ্ম্ম, দেখিয়া কোন ধৰ্ম্মপরায়ণ কস্তার হৃদয় না বিদীর্ণ হয় ?” বিমল উত্তর করিলেন, “ মাতঃ আপনি এখনও ভ্রান্ত । আমরা যেরূপ হতভাগ, আমার পিতাও সেইরূপ হতভাগা, তাহার জীবন মরণ এখনও স্থির নাই। যে পামর আপনাকে ও আমাকে কষ্ট দিতেছে, সে পিতাকেও হতভাগ্য করিয়াছে,-আমি আশঙ্কা করি, সে পিতার মৃত্যু সঙ্কল্প করিতেছে।” - o, هماغ
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।