পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গবিজেতা । ఫ్చిన সহস শাস্ত প্রগাঢ় ভালবাসার উদয় হয়,—কৃষ্ণ ক্রযুগলের বক্র শোভl, বিশাল শাস্ত নরনের স্থির জ্যোতিঃ, ওষ্ঠ দুখানির পরিমলসুধা, সমস্ত বদনমণ্ডলের বালিকাভাব দর্শনে হৃদয় একেবারে দ্রবীভূত হয়,—সেই বিশুদ্ধ প্রেমের প্রতিমাটীকে হৃদয়ে স্থান দিতে ইচ্ছা করে । সরল পরম সুন্দরী নহে, অথচ তাহার মুখে এইরূপ অনিৰ্ব্বচনীয় ভাব ছিল, হৃদয়ও মুখের অবিকল প্রতিকৃতি। সুতরাং অল্প সময়ের মধ্যে বিমল যে তাহাকে কনিষ্ঠ ভাগিনীর মত ভালবাসিবেন, আশীৰ্য্য নহে । আর এক প্রকার আকৃতি আছে, যাহাকে নিরুপম সৌন্দর্ঘ্যে বিভূষিত করিবার জন্য প্রকৃতি আপন ভাণ্ডার শূন্য করিয়াছেন । সে জ্যোতিঃপূর্ণ মুখমণ্ডল, জ্যোতিঃপূর্ণ নয়নযুগল, স্থস্ব ওষ্ঠস্বয়, উন্নত ললাট, তুলিকাচিত্ৰিতবং সুগ্ম ভ্রগুগল, তন্তু অঙ্গ, সুগঠিত স্থদীর্ঘ অবয়ব, ধীর গম্ভীর পদবিক্ষেপ দেখিলে হৃদয়ে প্রেমের উদেক হইবার অগ্ৰে ভক্তির अग्न इग्न । সে উজ্জল নয়নদ্বয়ে, সে উন্নত প্রশস্ত ললাটে হৃদয়ের উন্নত ভাব প্রকাশ পায়, সে স্থত্ন ওষ্টদ্বয়ে হৃদয়ের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিরাজ করে । বিমলার এইরূপ সৌন্দৰ্য্য ছিল, তাহারও হৃদয় মুখের অবিকল প্রতিকৃতি । এইরূপ দেবীর অবয়ব দেখিয় সরল যে র্তাহাকে জ্যেষ্ঠ ভগিনীর ন্যায় ভক্তি ধরিবে, দেবীর ন্যায় পূজা করিবে, তাহাও আশ্চৰ্য্য নহে । সরলার হৃদয় হইতে দুঃখ দূর করিবার জন্য বিমলা তাহাকে দুর্গের চারিদিক দেখাইন্তে লাগিলেন । প্রথমে দুর্গের পশ্চাতে উদ্যানে লইয়। গেলেন । তথায় তামবৃক্ষেয় নিবিড় ছয় দিবা দুই প্রহরকেও সন্ধ্যার ন্যায় সুস্নিগ্ধ করিয়াছে । দুইজনে সেই ছায়ায় ক্ষণেক বসিলেন, छूट्रे প্রহরের মৃদু বায়ুতে অল্প অল্প পত্রের মৰ্ম্মর শুনা যাইতেছে, মধ্যে মধ্যে ঘুঘু অতি মৃদুপ্রার অপরিস্ফুট শব্দ শুনা ঘাইতেছে,—দুই প্রহরে এইরূপ স্বস্নিগ্ধ স্থানে যে সেই রব শুনিয়াছে, তাহারই হৃদয় মোহিত ও শান্তিপরিপূর্ণ হইয়াছে । উভয়ে উদ্যান হইতে সরোবরসমীপে গমন করিলেন । তাহার জল অতি বিস্তীর্ণ, চারি পার্শ্বের অমিচ্ছাধা আপন স্থির বক্ষে ধারণ করিয়া, রছিয়াছে। দুইজনে অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত সেই সরোবরের ঘাটে বসিয়। রছিলেন, স্বভাবের নিস্তব্ধ শোভা দেখিয়া হৃদয় নিস্তব্ধ হইল। বিমলা মধ্যে মধ্যে কথা কহিতেছেন, সরলার মুখে কথা নাই, নিস্তব্ধ হইয়া শ্রবণ করিতেছে। ক্ষণেক পর বিমলা জিজ্ঞাসা করিলেন,— • “ সরল, অত মেীন হইরা রহিয়াছ কেন ? এক্ষণও কি দুঃখচিস্ত। করিতেছ ? ছি, সে সকল চিত্ত। দূর কর।”