e २ङ्गतिर झङ ! রচনা হইত। গেশালায় দুই তিনটী গাভী থাকিত ; প্রাঙ্গণে একটী গোল ছিল, তাহাতে কিছু ধান্ত সঞ্চিত থাকিত। গৃহপার্শ্বে একটা ক্ষুদ্রায়ত বাগান ছিল, তাহাতে কতকগুলি ফলৰ্বক্ষ ছিল ও সরলা কতকগুলি পুষ্পের চার রোপণ করিয়াছিল । যদিও কুটার সামান্য, তথাপি কোন আগন্তুক আসিলেই অনায়াসেই অনুভব করিতে পারিতেন যে, কুটার-বাসিনীগণ নিতান্ত সামান্য লোক নহেল । গুহের মধ্যে সকল দ্রব্যই এমন পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন যে, কি গ্রামে, কি নগরে, প্রায় সেরূপ দেখা যায় না । বসন যৎসামান্য, কিন্তু অতি পরিচ্ছন্ন ; ঘরগুলিও যৎসামান্য, কিন্তু যৎপরোনাস্তি পরিষ্কৃত ; প্রাঙ্গণে তৃণমাত্র নাই । কুটীরবাধিনীদিগের আচার-ব্যবহার দেখিয়া শুনিয়া প্রথম প্রথম গ্রামবাদীগণ নানাপ্রকার আলোচনা করিত। এক্ষণে ছয় সাত বৎসরাবধি তাহাদিগকে সেই গ্রামে বাস করিতে দেখিয়া সকলেই নুতন অনুভবে বিরত হইল; সকলেই সিদ্ধান্ত করিল যে, মহাশ্বেতা কোন ধনাঢ্যের বনিতা হইবেন । ধনাঢ্য বৃদ্ধ বয়সে পুনরায় বিবাহ করাতে পূৰ্ব্বস্ত্রী জালাতন হইয়া স্বীয় কন্যাকে লইয়া নিভৃতে এই গ্রামে বাস করিতেছেন । এদিকে মহাশ্বেত বহু সম্মান করিয়া শিখণ্ডিবাহন ব্রহ্মচারীকে তাহার করাইয়। আপনিও কিছু জলযোগ করিলেন। পরে ব্রহ্মচারীকে এক অসিনে উপবেশন করাইয়। আপনি ভূমিতে বসিয়া কথোপকথন করিতে লাগিলেন । সমস্ত রাত্রি কথোপকথন হইতে লাগিল, আমরা তাহার কিয়দংশ বিবৃত করিব । - শিখণ্ডিবাহন বলিলেন, “ ভগিনি, আমি ধৰ্ম্মপিতা চন্দ্রশেখরের নিকট হইতে আসিতেছি, তিনি সম্প্রতি তীর্থ হইতে প্রত্যাগমন করিয়াছেন । আজি সাত বৎসর হইল, ধৰ্ম্ম-পিতা তীর্থে গিয়াছিলেন, তখন মোগল পাঠানের মধ্যে কোন প্রকার গোলযোগ উপস্থিত হয় নাই । সাত বৎসয়ে হিমালয় হইতে কাবেরী-তীর পর্য্যন্ত সমস্ত তীর্থ পৰ্য্যটন করিয়াছেন।” মহ। “ পিতার সার্থক জীবন ৷” শিথ। “ অবশেষে মুঙ্গেরের নিকট কোন গ্রামে ধ্যান করিতে করিতে সহসা তাহার স্বল্প হইল, যে রক্তস্রোতে এক মহা অগ্নি নিৰ্ব্বাণ হইয়াছে, তিমিরে এক মহাতেজঃ লীন হইয়াছে। স্বপ্নের মৰ্ম্ম কিছু কিছু অনুভব করিয়া বঙ্গদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। পরে আমার প্রমুখাৎ তোমার ভয়ানক ব্রতের বিষয় শুনিয়া ধৰ্ম্মপিতা অতিশয় বিস্মিত হইলেন। তিনি । ব্রতের সম্বন্ধে কোন মতামত প্রকাশ করিলেন না। কিন্তু আমার |
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।