বঙ্গবিজেতা । SS)● ন্যায় কৰ্ম্ম করিতে অস্বীকার করিবেন না। আর তাহর পর জগদীশ্বরের যদি ইচ্ছা হয়, আমার হৃদয়েশ্বর মুঙ্গেরে আছেন,—সরল, তুমি কখন গ্রেমে পড়িয়াছ ? তুমি বালিকা, সে চিত্তা, সে যাতনা এক্ষণও জান না ।” সরলা কোন উত্তর করিবে মনে করে নাই, কিন্তু তাহীর মুখ হইতে হঠাৎ একটা কথা বাহির হইল—“ জানি।” বিমলা চাহিয়া দেখিলেন, সরলার চক্ষে একবিন্দু জল ! বিমল বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ সরল, এ কথা আমাকে এতক্ষণ বল নাই।” এই বলিয়। সরলীর নিকট সমস্ত কথ। বার বার জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন । সরলা লজ্জায় অভিভূত হইয়। ক্রমে ক্রমে সমস্ত কথাই ব্যক্ত করিল । বিমল বুকতে পারিলেন, প্রগাঢ় প্রেমে বালিকার হৃদয় পরিপূর্ণ রক্রিয়াছে, সে প্রেমের সীমা নাই, তল নাই । ভাবিতে ভাবিতে একবার গম্ভীর হইলেন, আর এক একবার হাসি আসিতেও লাগিল । ভাবিলেন, ** সরল। তামারই মত বিপদে পড়িয়ও রমণীর প্রধান ধৰ্ম্ম বিস্কৃত হয় নাই;—তামারই মত উহার উদয় প্রেমে পরিপূর্ণ ;–আমারই মন্ত সুন্ধকারে ঝাপ দিয়াছে ;–হৃদয়েশ্বরের ঘর, বাড়ী, বংশ, কুল, কিছুই জানে না, পরমেশ্বর সরলার মনস্কামনা পূর্ণ করুন ।” পুনরায় জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন, “ সরলা, তাহার নাম কি ?” সরল মুখ লুকাইয়া বলিল, “ইন্দ্রনাথ ।” বলিবামত্র বিমলা বজাহতের ন্যায় শিহরিয়া উঠিলেন । সরলা দেসিয়া বিস্মিত হইল, বলিল, “ কি হইয়াছে ?” বিমল উত্তর করিলেন, “ কিছু নহে,”—ষ্মরণ করিলেন, জগতে সহস্ৰ ইন্দ্রনাথ থাকিতে পাবে । পুনরায় জিজ্ঞাস করিলেন, “ তাহার সহিত কবে তোমার শেষ দেখা হইয়াড়ে ?” - সরলা বলিল,—ণ অদ্য দুই মাস হইবে তিনি কোন বিশেষ কাৰ্ঘ্যের জন্য পশ্চিমে স্বাত্রা করিয়াছেন ।” বিমলা আরও বিস্মিত হইলেন,—ঠিক দুইমাস পুৰ্ব্বে তাহার ইলনাথও পশ্চিম যাত্রা করিয়াছিলেন। পরে ইন্দ্রনাথের অবয়ব আকৃতি প্রভৃতি বিষয়ক প্রশ্ন করিতে লাগিলেন । সরলা যে বর্ণনা করিল, ইন্দ্রনাথের প্রকৃত আকৃতি নহে, কেননা ইন্দ্র নাথ যেরূপ সুপুরুষ, সরলা তাহার দশ গুণ অধিক করিয়া ব্যাখ্যা করিল। কিন্তু বিমলার হৃদয়ে যে তাকৃতি অঙ্কিত 码
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।