পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গবিজেতা । Y 8ጫ নিরস্ত রাধিতে পারে নাই । তুমি বালিকা হইয় যে এত দিন তামাকে এই বিবাহু হইতে নিরস্ত রাখিয়াছ, তাহাতে তোমার বুদ্ধি ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞার যথেষ্ট প্রশংসা করিতেছি ; কিন্তু আর পরিবে না। অদ্যই তোমার সহিত আমার বিবাহ হইবে, আমি এতক্ষণ তোমাকে বলি নাই, সকল আয়োজনই প্রস্তুত আছে। পুরোহিত নীচে অপেক্ষা করিতেছেন, দিনের মধ্যে অন্য সমস্ত কাৰ্য্য সমাধা করিয়া রাত্রিতে আমাদিগের বিবাহ দিবেন। বিমলা, তুমি বুদ্ধিমতী, বিবেচনা করিয়া দেখ, আর বাধা দেওয়া নিরর্থক । তুমি বাধা দিলেই বলপ্রকাশ করিব, তবে মিথ্যা আর কি জন্য আপত্তি কর, আইস, দুইজনে নীচে যাই ।” এই কথা শুনিয়া বিমলা একেবারে জ্ঞানশূন্য হইলেন। কালসৰ্পে দংশন করিলেও এত চমকিত হইতেন না, তাহার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাও মুহূর্তের জন্য যেন তাহাকে পরিত্যাগ করিল । অজ্ঞানের ন্যায় ক্ৰন্দন করিয়া বলিলেন,— 锦

  • পিতা, এ বিপত্তির সময় সহtয় হও।” শকু। " তোমার পিতা মুঙ্গেরে, তোমার বৃথা প্রার্থনা।” বিম । “তবে জগৎপিতা জগদীশ্বর আমার সহায় হও ।” এই বলিয়। বিমলা হস্ত জোড় করিয়া উন্মত্তের ন্যায় আকাশের দিকে চাহিতে লাগিলেন । কেশরাশিতে বদনমণ্ডল ও বক্ষঃস্থল আবৃত করিয়াছে, বেশভুষ৷ বিশৃঙ্খল হইয়া গিয়াছে ; নয়নছুটী জলে পরিপুর্ণ অথচ অপার্থিব জ্যোতিতে জলিতেছে ; কণ্ঠ প্রায় রুদ্ধ হইয়াছে, উন্মত্তের ন্যায় উৰ্দ্ধে দৃষ্টি করিয়া বলিলেন,—
  • জগৎপিতা জগদীশ্বর আমার সহায় হও ।” সে আকৃতি দেখিয়া শকুনি আবার নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান হইলেন । একদৃষ্ট্রে সেই অপরূপ সৌন্দৰ্য্যরাশির দিকে চাহিয়া রছিলেন । বিমলা ধীরে ধীরে তাঁহাকে বলিলেন,—

“শকুনি, তুমি জগদীশ্বরকে ভয় কর, এ পৃথিবীতে এত পাপ করিয়াছ, অবগুই জগদীশ্বরকে ভয় কর । আমি তাহার পবিত্র নাম উচ্চারণ করিয়৷ ” বলিতেছি, তুমি আমার ভ্রাতাস্বরূপ, আমি তোমার ভগিনীস্বরূপ, তুমি আমার পুত্রের স্বরূপ, আমি তোমার মাতার স্বরূপ,—আমাকে বিবাহ করিতে চাহিও না ।” জগদীশ্বরের পবিত্র নামে কোন পাপীর হৃদয় কম্পিত না হয় ?—শকুনি আর সহ করিতে পারিল না । বলিল,—“হতভাগিনি ! নিৰ্ব্বোধ !