পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্গবিজে স্থ{ । 3盘敬 দিল্লীশ্বরের নাম ও গৌরব তোমরা রক্ষা করিবে ।” এইরূপ উৎসাহবচন শ্রবণ করিয়া তাহার সৈন্যগণ উল্লাসে পরিপূর্ণ হইয়। সিংহনাদ করিতে লাগিল, সে ভৈরব গর্জনে আকাশ ভিন্ন হইতে লাগিল, শত্রুর হৃদয় কম্পিত হইতে লাগিল । তথাপি দুই সহস্ৰ সৈন্যের সহিত পঞ্চশত লৈন্তের যুদ্ধ সন্তবে না,— ইন্দ্রনাথের সেনাগণ একে একে নিহত হইতে লাগিল, শত্রুদিগেরও অনেক জন হত ও আহত হইল, কিন্তু দুই সহস্ত্রের মধ্যে এক শত কি দুই শত যুদ্ধে অক্ষম হইলে ক্ষতি নাই, দেখিয় রাজা চিন্তিত হইলেন, সেতু নিৰ্ম্মাতাদিগকে শীঘ্র শীঘ্ৰ কাৰ্য্য সমাধা করিতে বলিলেন ও আপনি সিংহীর্ঘ্য প্রকাশ করিয়া সেনাদিগকে সাহস দিতে লাগিলেন । একবার ইন্দ্রনাথকে অন্তরালে ডাকিয়া বলিলেন,— “ ইন্দ্রনাখ তুমি আপন সৈন্তাদিগকে যেরূপ রণশিক্ষা দিয়াছ, তাহাতে আমি চমৎকৃত হইলাম। কিন্তু যেরূপ সেনাগণ হত ও আহত হইতেছে, ভয় হয় রণে ভঙ্গ দিবে।” ইন্দ্রনাথের মুখ রক্তবর্ণ হইল,—বলিলেন,— “ মহারাজ, আমার সৈন্তপিগকে সম্মুখ যুদ্ধ করিতেই শিখাইয়াছি, রণে ভঙ্গ দিতে কখনও শিখাই নাই। যতক্ষণ একজন অশ্বারোহী থাকিবে, ততক্ষণ সম্মুখ যুদ্ধ হইবে।” রাজ। সন্তুষ্ট হইয়া বেগে অশ্বধাবন করাইয়া সকল সৈন্যকে পশ্চাতে ফেলিয়া শত্রুর সম্মুখীন হইলেন ও আপন নৈসর্গিক সিংহতেজ প্রকাশ করিতে লাগিলেন । তদর্শনে সৈন্তের উল্লাসে গর্জন করিয়া যুদ্ধ করিতে লাগিল । ইন্দ্রনাথও লম্ফ দিয়া পুনরায় সম্মুখে গমন করিলেন। উচ্চৈঃস্বরে আবার বলিতে লাগিলেন, “ আজি তামাদের উৎসবের দিন, নিজের শোণিতস্রোত প্রবাহিত করিয়া প্রভুকে রক্ষা করিব ; দিল্লীশ্বরের নাম, গোয়ব বৰ্দ্ধন করিব। যোদ্ধার ইহা অপেক্ষ আর কি আনন্দ আছে ? বীরগণ, অগ্রসর হও ।” সন্ধ্যার ছায়ায় ক্রমে ক্রমে যুদ্ধক্ষেত্র আবৃত হইতে লাগিল, কিন্তু সে চমৎকার ব্যুহ তঙ্গ হইল না ! একজন অশ্বারোহী হত হয়, তাহার স্থানে অপর একজন অশ্বারোহী আসিয় দণ্ডায়মান হয় ; সে হত হয়, আর একজন আদিয়া তথায় দণ্ডায়মান হয়। শ্রেণী যত ক্ষীণ হইতে লাগিল, সৈন্তদিগের উৎসাহ ও উল্লাস যেন ততই বৰ্দ্ধন হইতে লাগিল। ইন্দ্রনাথ