পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> &b" বঙ্গবিজেতা । সেনা । “ কেন ? আপনি পরাজয় আশঙ্কা করিতেছেন কিজষ্ঠ ?” রাজা । “আমাদের সৈষ্ঠেরা যদি যুদ্ধ করে, তাহা হইলে তাবগু জয়লাভ হইবে । কিন্তু তোমাদের মত কয়জন বিশ্বাসী সেনাপতি আছে ? আমি আশঙ্কা করি, যুদ্ধক্ষেত্রে গমন করিলেই আমার অধিকাংশ সৈন্য শত্রুপক্ষ অবলম্বন করিবে ।” সেনা । " আপনি এরূপ আশঙ্কা কিজান্ত করিতেছেন ?” রাজ। “ সেনাপতি ! টোডরমল্ল কখনই অমূলক আশঙ্কা করে না। কল্য যখন আমরা দুর্গের বাহিরে গিয়াছিলাম, কি প্রকারে আমাদের পশ্চাতে সেতু ভগ্ন হইয়াছিল ? কিরূপে শত্রুর আমাদিগের গুঢ় বিষয়ের ংবাদ পাইয়াছিল ? এক প্রহর কাল আমরা যুদ্ধ করিতেছিলাম, কি জন্যই বা তাহার মৃধ্যে দুর্গ হইতে কেহই পরিখা পার হইল না, আমাদিগের সাহায্যাৰ্থ আইসে নাই ?” সেন । " মহারাজ, আমাদের সৈন্যেরা জানিতে পারে নাই, জানিলে অবশুই আপনার সাহায্যে যাই ত । তাহারা সকলেই দুর্গের অপর পার্শ্বে ছিল, কল্য একটা মহোৎসব হইয়। গিয়াছে, তাহতেই সকলে রত ছিল ।” রাজা । “ সত্য, অধিকাংশ সৈন্য উৎসবে মত্ত ছিল, আমাদিগের যুদ্ধকথা কিছুই জানিতে পারে নাই। কিন্তু আমি জানি, একজন সেনাপতি ত্রিংশৎ সহস্র অশ্বারোহী লইয়া পরিখার অপর পার্শ্বেই অবস্থিতি করিতেছিল। পামর গোপনে যেরূপ বিদ্রোহাচরণ করিয়াছে, আমার সমক্ষে যদি সেইরূপ বিদ্রোহীচরণ করিতে সাহস করিত, তাহা হইলে কল্যই আমাদের বিপদের সময় বিপক্ষ সৈন্যের সহিত যোগ দিত । সেনাপতি ! এইরূপ সৈন্য লইয়। তুমি আমাকে যুদ্ধক্ষেত্রে যাইতে উপদেশ দাও ? তাহা হইলে স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক শক্রর কৌশলজালে পতিত হইতে হইবে।” ইন্দ্রনাথের জন্য সকলেই দুঃথিত হইলেন, কিন্তু হতভাগিনী বিমলা একেবারে হতজ্ঞান হইলেন । বিমলা যেদিন নদী হইতে ইন্দ্রনাথকে উদ্ধার করিয়াছিলেন, সেইদিন হইতে ইন্দ্রনাথ বিমলাকে বিস্তৃত হইতে পারেন নাই । সরলার প্রতি ইন্দ্রনাথের প্রগাঢ় প্রেম ছিল ; ছয় বৎসর কাল হইতে যে বালিকাকে ভালবাসিয়াছিলেন, তাহাকে বিস্মৃত হওয়া সম্ভব নহে। বিশেষ সরলার পূর্বগৌরব, এক্ষণকার দারিদ্র্য ও নিরাশ্রয়তা, সরলার সুন্দর অকপট বদনমণ্ডল ও সরল অকপট অন্তঃকরণ, সরলার রুদ্রপুরে কুটীরে বাস ও র্তাহার প্রতি প্রগাঢ় প্রেম,—এ সকল কথা যখন ইন্দ্রনাথের হৃদয়ে জাগরিত হইত, তখন লৌহযুৰ্ম্মের ভিতরও তাহার হৃদয় স্ফীত হইত,