*も* रङ्गरिएछ७ ।। দিল্লীর অধীশ্বর চতুরী ও প্রতারণা দ্বারা আমাদের পুরাতন সাম্রাজ্য লইতে চাহে, সে বিদ্রোহী ?” ইন্দ্রনাথ পূৰ্ব্ববৎ সগৰ্ব্বে উত্তর করিলেন,— “পাঠানরাজ ! আপনারা বঙ্গদেশের পুরাতন অধিপতি আমি অস্বীকার করি না । আমার পূর্বপুরুষেরা আপনাদিগের অধীনে বাস করিতেন অস্বীকার করি না ; কিন্তু কোনও জাতির জয় পরাজয় চিরস্থায়ী নহে, কোনও জাতির সুদিন বা তুর্দিন চিরস্থায়ী নহে ; উন্নতি অবনতি চক্রবৎ পরিবর্তিত হইতেছে। যদি তাহা মা হুইত, যদি পুরাতন রাজাদিগের শাসন চিরস্থায়ী হইত, তাহ হইলে মুসলমানের কোথায় থাকিত, তাহ হইলে আজি হিন্দুরাজ্যের গৌরব-স্বৰ্য্য চিরান্ধকারে অস্ত যাইত না ; তাহা হইলে আমি অদ্য দিল্লীশ্বরের জন্য যুদ্ধ না করিয়া রামচন্দ্র, যুধিষ্ঠির প্রভৃতি চিরস্মরণীয় ভারতবর্ষের একাধিপতি রাজাদিগের অধীনে যুদ্ধ করিতাম। কিন্তু সে পুরাতন হিন্দু-গৌরব অস্তমিত হইয়াছে, পাঠানরাজ ! আপনাদিগের গৌরবও তিরোহিত হইয়াছে, বিধির নির্বন্ধের বিরুদ্ধাচরণ করিয়৷ কেন শোণিতস্রোতে সুন্দর বঙ্গদেশ প্লাবিত করিতেছেন ?” ইন্দ্রনাথের সগৌরব কথা শুনিয়া সকলেই নিস্তব্ধ ও বিস্মিত হইয়া রছিলেন, অনিমেষলোচনে সেই হীনবল আহত যোদ্ধার দিকে অবলোকন করিতে লাগিলেন । মাসুমীর বীরান্তঃকরণে মৰ্ম্মাত্তিক পীড়া জন্সিয়াছিল । ইন্দ্রনাথ যখন তাহার প্রতি অসম্মান প্রকাশ করিয়াছিলেন, তখন তিনি অধিক বিরক্ত হয়েন নাই, কিন্তু স্বজাতীয়দিগের গৌরব অস্তে গিয়াছে, এ কথায় তাহার হৃদয়ে শূল বিধিতে লাগিল । যে স্বজাতির পুনরুদ্মতির জন্য তিনি দিবানিশি চিত্ত| করিতেছিলেন, যে পাঠানরাজ্য স্থাপনার জষ্ঠ্য তিনি মহাপরাক্রাস্ত দিল্লীশ্বরের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, তাহাদিগের নিন্দ তিনি সহা করিতে পরিলেন না । তাহার হৃদয়ে কোপের সঞ্চার হইতেছিল, শরীরে উষ্ণ শোণিত সঞ্চারিত হইতে লাগিল। কিন্তু সে কোপ প্রকাশ না করিয়৷ গম্ভীরস্বরে বলিলেন, “হিন্দু! তোমরা বিধির নির্ধ্বন্ধের উপর প্রত্যয় করিয়া নিশ্চেষ্ট্র হইয়া থাক, সাহসী পাঠানের জীবন থাকিতে নিশেষ্ট হুইবে না, অধীনতা স্বীকায় করিবে না । পাঠান-গোপ্লব-সূৰ্য্য এক্ষণও অন্ত যায় মাই ।” - ইন্দ্রনাথ পুনরায় বলিলেন, “ যেদিন কটকের মহাযুদ্ধে দায়ুদ খা পরাজিত হয়েন, সেই দিনই পাঠানের গৌরব-স্থৰ্য্য অস্তে গিয়াছে। যে দিন সন্ধিকথা বিস্কৃত হইয়। দায়ুদ খুঁ। পুনরায় যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়েন, সেই
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।