বঙ্গবিজেতা । ›ዓko হইলেন,—তাহার মস্তক ঘুরিতে লাগিল,-ইন্দ্রনাথের দিকে চাহিলেন,— ইন্দ্রনাথ নাই,–হৃদয় শুন্য হইল,—মূচ্ছিত হইয়। ভূতলে পতিত হইলেন। উনত্রিংশৎ পরিচ্ছেদ । -سن-سن পুরুষের বীরত্ব । -امهلع Heard ye the din of battle brny, Lance to lance and horse to horse. Grey. ইন্দ্রনাথকে সহসা শিবিরে দেখিয়া তাহার অধীনস্থ সেনাদিগের বিস্ময় ও আহ্নাদের সীমা ছিল না । কিন্তু ইন্দ্রনাথ গষ্ঠীর স্বরে ‘বলিলেন, “ কোন কথা জিজ্ঞাসা করিও না, তামার অধীনস্থ পঞ্চশত অশ্বারোহী ও এক সহস্র পদাতিক বৰ্ম্ম পরিধান ও অস্ত্ৰ শস্ত্র লইয়া প্রস্তুত হও,—এইক্ষণেই নিঃশবে শক্রশিবির আক্রমণ করিব।” ” সৈন্তের বিস্ময়াপন্ন হইল, কিন্তু আর কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া রণসজ্জা করিতে লাগিল । ইন্দ্রনাথ এই অবসরে নিকটস্থ এক শিবমন্দিরে যাইলেন । ক্ষণেক উপাসনা করিলেন, পরে দণ্ডবৎ প্ৰণিপাত করিয়া বলিলেন, “ ভগবন্ ! আদ্যকার মন্ত অসংসাহসী কার্য্যে আমি কখনও লিপ্ত হই নাই, আদ্য প্রসন্ন হইয়া আমাকে বিজয়লাভ করিতে দিন, বিজয়লাভ করিয়া যদি প্রাণহানি হয়, ক্ষতি নাই,—পিতাকে কুশলে রাখুন–পিতার সঙ্গে সঙ্গে আর একটা নাম ইন্দ্রনাথ উচ্চারণ করিলেন,--আর একজনের কুশল প্রার্থনা করিলেন, নিঃশব্দে সকলে শিবির হইতে বহির্গত হইলেন । রজনী দুই প্রহর অতীত হইয়াছে, চন্দ্র অস্ত গিয়াছে, চারিদিকে গভীর অন্ধকার । আকাশে দুই একটী তারা দেখা যাইতেছে, আবার মেঘরাশিতে আবৃত হইতেছে, মধ্যে মধ্যে পেচকের ভীষণ শব্দ ও নিশার ভীষণ রব শুনা যাইতেছে ও নিকটস্থ - গঙ্গার ভীম কল্লোল শ্রুতিগোচর হইতেছে। সে গভীর অন্ধকারে ইন্দ্রনাথের সেন নিঃশব্দে শত্রু-শিবিরাভিমুখে চলিল । ক্ষণেক যাইতে যাইতে দূর হইতে একটা আলোক দৃষ্টিগোচর হইল, সে আলোক একবার দেখা যায়, অন্তবার নিৰ্ব্বাণপ্রায় হয়। ইন্দ্রনাথ দাড়াইলেন,
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।