পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গবিজেতা । ১৭৭ করিরার চেষ্টা না করিয়া সম্মুখের সহস্ৰ মোগল পদাতিক ও অশ্বারোহীর সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিল । ইন্দ্রনাথ উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়াইয়া যাইয়া কারাগারের নিকট পহুছিলেন, তিন চারি জন সেনা বর্শার আঘাতে তাহার লৌহ কবাট ভাঙ্গিয়া ফেলিল । ইন্দ্রনাথ বিদ্যুতের মন্ত সেই ঘরে প্রবেশ করিলেন । "ভিখারিণি ! ” “ ভিখারিণি!” “ ভিখারি৭ি !” কৈ ! ভিখারিণী তথায় নাই । ইন্দ্রনাথের ভূৎকম্প উপস্থিত হইল, সহসা শরীর অবসন্ন হইল । তৎক্ষণাৎ স্মরণ করিলেন, স্ত্রীলোকদিগের জন্য ভিন্ন কারাগার আছে । তৎক্ষণাৎ সেই কারাগারে দৌড়াইয়া যাইলেন । ভরসা ও ভয়ে হৃদয় চুরু দুরু করিতে লাগিল, ঘন ঘন নিশ্বাস প্রশ্বাস করিতে লাগিলেন, হৃদয় এরূপ স্ফীত হইতে লাগিল, বোধ হয় যেন অস্থি চৰ্ম্ম ও উপরিস্থিত লৌহ বৰ্ম্ম বিদীর্ণ হইবে । 夺 স্ত্রীলোকের কারাগারের কবটি সহসা উৎপাটিত হইল । ইন্দ্রনাথ দ্রুতবেগে ঘাইয়া ডাকিলেন, “ ভিখারিণি!” “ভিখারিণি !”—ভিখারিণী নাই, ইন্দ্রনাথের মুখে আর কথা নাই, ধীরে ধীরে মুঃ অবনত করিলেন, হস্ত দিয়া চক্ষু আচ্ছাদন করিলেন, ললাট, ক্রযুগল ও সমস্ত বদনমণ্ডল ভীষণ বিকৃতি ধারণ করিল । অনেকক্ষণ পর দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া আকশের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “ ভগবনূ! এই কি তোমার মনে ছিল, আমার সকল যত্ন বিফল করিলেন ।” সহসা একটা কথা মনে পড়িল, নিস্কোষিত তরবারিহস্তে কারাগারের রক্ষককে যাইয় ধরিলেন, বলিলেন, “ যে রমণীকে ইন্দ্রনাথের কারাগারে পাওয়া গিয়াছিল, সে কোঞ্চয় ? বলিতে বিলম্ব করিলে মস্তক ছেদন করিব ।” রক্ষক ভীত হইয়া বলিল, “ বধ্যভূমি,” ভয়ে তাহার শরীর অবসন্ন হইয়াছিল, কথা বাহির হইল না । তৎক্ষণাৎ পঞ্চজন অশ্বারোহী বিদ্যুৎ-বেগে বধ্যভূমিতে যাইলেন । ইন্দ্রনাথ সড়য়ে দেখিলেন চারিদিকে পাঠান সেনা জড় হইতেছে, অলক্ষিতরূপে অন্ধকারে বধ্যভূমিতে যাইয়া পহুছিলেন । তাহার হৃদয় তখনও ভরসা ৪ ভয়ে স্ফীত হইতেছে। যাইয়া দেখিলেন, চারিদিকে ঘোর অন্ধকার । “ভিখারিণি !” “ ভিথারিণি !” “ভিখারিণি !” একবার, দুইবার, তিনবার ডাকিলেন, উত্ত্বর নাই,—অন্ধকার বধ্যভূমি হইতে সেই নাম প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল। রোধে, খেলে ইন্দ্রনাথ জ্ঞানশূন্য হইলেন, ব