পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२क्रश्रिजङ्ग । **:S ইন্দ্রনাথের নয়নে শূল বিদ্ধ হইতে লাগিল । বলিলেন, “ ভগবন! আজি পাঠানদিগের যাতন দেখিয়া একবার আমি দুঃখ করিয়াছিলাম,-- আর করিব না, নরকেও তাহাদিগের পাপের উপযুক্ত যাতনা নাই।” নিঃশব্দে বিমলার শরীরের রজু খণ্ডন করিতে লাগিলেন । ক্ষণেক পর বিমলার একবার চেতন হইল,—ইন্দ্রনাথকে চিনিতে পারিলেন, বলিলেন, " ইন্দ্রনাথ, কি জন্য আমার উদ্ধারের জন্য আসিয়াছ ? অামার জীবনের কার্য্য সমাধা হইয়াছে, ভগবানের ইচ্ছায় আমি এ পাপ প্রাণ ত্যাগ করিতে প্রস্তুত হইয়াছি।” এইমাত্র বলিয়। আবার প্রার সংজ্ঞাশুন্য হইলেন । যে স্বরে একথা উচ্চারিত হইল, ইন্দ্রনাথ শুনিয়া স্তম্ভিত হইলেন । অতি ক্ষীণ মৃদু পবিত্র স্বর শুনিয়া ইন্দ্রনাথ মৰ্ম্মাস্তিক বেদন পাইলেন। ধীরে ধীরে উত্তর করিলেন, “ ভিখারিণি ! কথার সময় নাই, তোমার জন্য এক্ষণে বস্ত্র কোথায় পাইক, আমি একবার তোমার বেশ ধারণ করিয়াছিলাম, তুমি একবার আমার বেশ ধারণ কর।” এই বলিয়। ইন্দ্রনাথ আপন শরীর হইতে লৌহবৰ্ম্ম খুলিয়া বিমলাকে পরাইয় দিতে লাগিলেন । বিমলার ংজ্ঞা নাই, বস্তুহীন হইয়াছিলেন, স্মরণ ছিল না । ইন্দ্রনাথ যাহা পরাইলেন, অজ্ঞান সংজ্ঞ শূন্যের ন্যায় তাহাই পরিলেন। ইন্দ্রনাথ সমস্ত লৌহবৰ্ম্ম বিমলাকে দিয়া আপনি কেবল শরীরে যে বস্ত্র ছিল তাহাই রাখিয়া অশ্বারোহণ করিলেন। তাহার আদেশে একজন অশ্বারোহী বিমলাকে আপনার পশ্চাতে উঠাইয়া লইলেন, না পড়িয়া যান এই জন্য একটা পেট দিয়া বিমলার শরীর আপনার শরীরের সহিত বদ্ধ করিলেন। পরে পঞ্চ অশ্বারোহী, যে দিকে যুদ্ধ হইতেছিল, সেই দিকে অশ্ব ধাবিত করিলেন। বিমল তখনও সংজ্ঞাশুন্য অচেতনপ্রায় । পাঠান-সেনা-সমুদ্র ভেদ করিয়া কিরূপে শিবিরে ফিরিয়া যাইবেন, তাহা ইন্দ্রনাথ স্থির করিতে পারিলেন না । কেবল ভগবান ও আপন খঙ্গের উপর বিশ্বাস করিয়া যুদ্ধশ্রেণীতে পুনরায় প্রবেশ করিলেন। সেনাপতিকে পাইয়া মোগল সৈন্তগণ পুনরায় জয়রব করিয়া উঠিল, সে জয়রব আকাশ ভেদ করিয়া উঠিল । বারুদে যে অগ্নি লাগিয়াছিল, তাহা হইতেই ইন্দ্রনাথের আদ্য পরিত্রাণু হইল ও পাঠানদিগের সর্বনাশ হইল। সে অগ্নি নিবৃত্ত না হইয়া ক্রমশঃ অন্যান্য তাম্বু ও অট্টালিকাকে ভস্মসাৎ করিতে লাগিল। পাঠানেরা ভগ্নচেতা হইয়া যুদ্ধ করিতেছিল, সেই জন্য এক লহস্ৰমাত্র মোগল সেনা