Ab*a रंङ्गेरिजज्रौं । এতক্ষণ অধিক সংখ্যক্ পাঠান সেনার সহিত যুদ্ধ করিতে সমর্থ হইয়াছিল। অগ্নি ক্রমশঃই বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, পরে যে দিকে সেনাদিগের স্ত্রীপরিবার ছিল, সেই দিকে অগ্নি লাগিল। পাঠানের ব্যাকুলচিত্ত হইল, এই সময়ে ইন্দ্রনাথের আগমনে মোগল সৈন্যের] জয় জয় করিয়া উঠিল । ভীত পাঠানের স্থির করিল, পুনরার অধিক মোগল সৈন্য আসিয়াছে, একেবারে রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল। ইন্দ্রনাথের আদেশে মোগল সৈন্ত পরিখা পুনরার পার হইয়া শিবিরাভিমুথে চলিল। প্রাতঃকাল প্রায় হইয়া আসিয়াছে,—ইন্দ্রনাথ ভাবিলেন, * যদি এথনও শত্রুরা জানিতে পারে, যে আমরা কেবল সহস্ৰ জনমাত্র আসিয়াছি, তাহা হইলে এক্ষণও ফিরিয়া আসিয়! আমাদের ধ্বংস করিতে পারে, আর বিলম্বে আবশ্যক নাই ।” ইন্দ্রনাথ পাঠান শিবিরের এক অংশ মাত্র ভেদ করিয়া বিমলার উদ্ধার সাধন করিয়াছিলেন, সে অংশে কেবল ৯ কি ১০ সহস্র সেনা ছিল । এক্ষণে দেখিলেন, পাঠানদিগের সমস্ত শিবিরের সেনা জাগরিত হইয়া যুদ্ধসজ্জা করিয়া আদিতেছে, প্রায় পঞ্চাশৎ সহস্র কি তাধিক পদাতিক ও অশ্বারোহী ইন্দ্রনাথের অল্প সৈন্তের পশ্চাদ্ধাবন করিতে আসিতেছে । ইন্দ্রনাথ সসৈন্যে দ্রুতবেগে দুর্গাভিমুখে চলিলেন, পাঠান সেনা নিকটে আদিবার পূৰ্ব্বেই মুঙ্গেরে পন্থছিলেন । সমস্ত শিবির জয় জয় রবে পরিপূরিত হইল । “ ইন্দ্রনাথ কারামুক্ত হইয়াছেন,—হইয়াই শত্রুদিগকে আক্রমণ করিয়াছেন। মোগলদিগের সহস্ৰ সৈন্যে পাঠানদিগের পরিখা উত্তীর্ণ হইয়া সৰ্ব্বনাশ করিয়া আসিয়াছেন, মোগলদিগের পঞ্চশত সেনা মাত্র হত হইয়াছে, পাঠানদিগের নূনকল্পে পঞ্চ সহস্ৰ সেনা হত হইয়াছে ও অনেক তাম্বু, বারুদ, খাদ্যদ্রব্য দাহ হইয়াছে।” এরূপ সংবাদ পাইয়। মোগল সৈন্যগণ উল্লাসে উন্মত্তপ্রায় হইল । টোডরমল্ল স্নেহসহকারে ইন্দ্রনাথকে আলিঙ্গন করিলেন,—তিনি কিরূপে উদ্ধার পাইলেন জিজ্ঞাসা করিবার কাহারও অবসর রহিল না । কয়েক জন অশ্বারোহী ভিন্ন বিমলার কথা কেহ জানিল না । ধিমলা রজনীযোগে অপেন বস্ত্র পরিধান করিয়া ধীরে ধীরে পিট্রালয়ে যাইলেন।
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।