रुङ्गएिछऊ! । *導 ইন্দ্রনাথ বিস্ময়ে অবাক হইয়া'রাজার দিকে চাহিয়৷ রছিলেন ; রাজা পূৰ্ব্বের ন্যায় পুনরায় ঈষৎ হাসিতে হাসিতে বলিলেন, "এই সতীশচন্দ্র রাজা সমরসিংহকে হত্য করিয়াছে, ইন্দ্রনাথ তাহাই চিত্ত করিতেছেন " ইন্দ্রনাথ বিস্ময়ে নিঃসংঞ্জের দ্যায় হইলেন, বলিলেন, “ মহারাজ ! ক্ষম করুন, আপনি অন্তর্যামী।” রাজা গম্ভীর স্বরে উত্তর করিলেন, “ বৎস এরূপ কথা বলিও না, কেবল ভগবানই অন্তর্যামী ; কিন্তু দিল্লীশ্বরের সেনাপতি চারিদিকের সন্ধান ন। রাখিয়া কোন কার্য্যে প্রবৃত্ত হয় না, কেবল এইমাত্র তোমাকে দেখাইলাম ।” ইন্দ্রনাথ নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন। রাজা আবার বলিতে লাগিলেন,— “এক্ষণে তোমাকে বলি, আমি কেবল সতীশচন্ত্রের কথায় কখন প্রত্যয় করিতাম না, কিন্তু যেরূপ সতীশচন্দ্রকে পাঠাইয়াছিলাম, সেইরূপ আরও দশ জনকে দশ দিকে পাঠাইয়াছিলাম। তাহারা সকলেই ফিরিয়া আসিয়া এই কথাই বলিয়াছে, সুতরাং সন্দেহের,স্থল নাই। সেই জন্যই সতীশচন্দ্রের শিবিক দেখিয়াই তাহার কামনা সিদ্ধ হইয়াছে, অগ্ৰেই বলিতে পারিয়াছিলাম। ইন্দ্রনাথ ! আমি ভবিষ্যদ্বক্তাও নহি, অন্তর্যামীও নহি, কিন্তু যুদ্ধব্যবসায়ে আমার কেশ শুক্ল হইয়াছে, ভগবানের ইচ্ছার যুদ্ধকৌশল কিছু শিখিয়াছি।” ইন্দ্রনাথ ক্ষণেক মৌনভাবে থাকিয়। পরে জিজ্ঞাসা করিলেন,— “ মহারাজ ! আর একটী কথা নিবেদন করি ;–আপনি কি তবে রাজা সমরসিংহের হত্যাকারীকে ক্ষমা করিলেন ?” রাজ গম্ভীরস্বরে উত্তর করিলেন,—“ আমার পুত্রকে হত্যা করিলে হত্যাকারীকে ক্ষমা করিতে পারি, কিন্তু রাজা সমরসিংহের হত্যাকারীকে ক্ষমা করিতে পারি না,—সে অপরাধের মার্জন নাই। সমরসিংহ । সমরসিংহ! তোমার ন্যায় দুৰ্দ্দমনীয় বীর আমি জীবনে কখনও দেখি নাই ; অথবা বাল্যকালে কেবল একজন দেখিয়াছিলাম । তাহারও সমরের ন্যায় বিশাল শরীর, সমরের ন্যায় অসুরবলসম্পন্ন অঙ্গ, সমরের ন্যায় অপ্রতিহত তেজ ছিল । রাঠোর তিলকসিংহকে এ জীবনে আর দেখিব ন! !” টোডরমল্ল ক্ষণেক মৌন হুইয়া রহিলেন । ইন্দ্র । “ তিনিও কি প্রভুর ন্যায় সম্রাটের অধীনে কোনও দেশ শাসন করিতেছেন ?”
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।