$$8 বঙ্গবিজেঞ্চ । টোডরমূল্পের মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ হইল ; তিনি ধীরে ধীয়ে বলিলেন, * তিলক আকবরের অধীনতা স্বীকার করেন নাই ; আকবরের বিরুদ্ধে চিতোর রক্ষার্থ প্রাণ দিয়াছেন।” নিস্তন্ধে চিন্তা করিতে করিতে টোডরমল্ল শিবিরাভিমুখে যাইলেন ; ইন্দ্রনাথ গঙ্গাতীরাভিমুখে প্রস্থান করিলেন । নিশীথ সময়ে সতীশচন্দ্র গঙ্গাতীরে পদচারণ করিতেছেন । আজি তিনি রাজার নিকট সম্মান প্রাপ্ত হইয়াছেন,—ৰ্তাহার হৃদয় উল্লাসে পরিপূরিত হইয়াছে—মায়াবিনী অাশা তাহার কাণে কাণে বলিতেছে, “ তুমি এক দিন পাপের দণ্ডের ভয় করিয়াছিলে,—সে পাপ কে জানিতে পারিয়াছে ? দণ্ড কোথায় ? এখন দিন দিন তোমার সম্মান বৃদ্ধি হউক, পদ বৃদ্ধি হউক।” হর্ষ্য অস্তে যাইবার সময় অবধি কুহকিনী আশা তাহার কাণে কাণে এই প্রকারে বলিতেছিল,—সেই সূৰ্য্য পুনরায় উদয় হইবার অগ্রে সতীশচন্দ্র বুঝিলেন, আশা মায়াবিনী, কুহকিনী, মিথ্যাবাদিনী । অৰ্দ্ধরাত্রে চন্দালোকে সতীশচন্দ্র একটা ভীষণ অfকৃতি দেখিতে পাইলেন। দেখিতে দেখিতে সেই আকৃতি ছুরিক হস্তে সতীশচন্ত্রের দিকে দৌড়াইয় অমিল। সতীশচন্দ্র চীৎকার শব্দ করিয়াঙ্গলাইবার চেষ্ট করিলেন। কিন্তু সে বৃথা, সেই হত্যাকারী খঙ্গহন্তে সতীশচন্ধুের উপর আসিয়া পড়িল । : হটাৎ বৃক্ষপার্শ্ব হইতে একজন সৈনিক পুরুষ আসিয়া Iচজের উদ্ধার সাধন করিলেন । দূর হইতে অলি নিস্কোষিত করিয়া আসিলেন,— এক আঘাতে দস্থ্যকে ভূতলশায়ী করিলেন । তখন সতীশচন্দ্র শত সহস্র ধন্যবাদ প্রদান করিয়া সেই সৈনিক পুরুষকে আলিঙ্গন করিতে গমন করিলেন । সৈনিক আপন দুই হস্ত বক্ষের উপর স্থাপন করিয়া ধীরে ধীরে পশ্চাদগামী হইলেন । সতীশচন্দ্র বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “আপনি আমার মহৎ উপকার করিয়াছেন, এক্ষণে কোপ প্রকাশ করিতেছেন কিজন্য ?” সৈনিক উত্তর করিলেন, “ আমি আপনার উপকার রুরিতে আইসি মাই। দয়ার প্রাণদণ্ড করা সৈনিকের ধৰ্ম্ম, সেই ধৰ্ম্মপালনে আলিয়াছিলাম। সে দম্য হত হইয়াছে,—আমি বিদায় হইলাম।” সতীশচন্দ্র অধিকতর বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “আপনি-কে বলুন,-- আপনার উদেখা যাহাই হউক, আপনি আমাকে প্রাণদান করিয়া ছেন।” -- - - -
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।