পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গবিজেতা ৷ ՖեյՑ সৈনিক উত্তর করিলেন, “আমি রাজা সমরসিংহের বিধবা ও অনাথ৷ কন্যার বন্ধু ! দস্থ্যহস্ত হইতে আপনার প্রাণরক্ষা করিলাম, কেননা বিচারে আপনার প্রাণদণ্ড হইবে, এই অমির মানস ।” এই বলিয়া ইন্দ্রনাথ বেগে প্রস্থান করিলেন । সতীশচন্দ্রের মস্তকে বজ্ৰঘাত হইল ;–একেবারে শিহরিয়া উঠিলেন, চারিদিকৃ অন্ধকার দেখিলেন, সভগ্নচিত্তে পাপী অগত্য নৈশগগনের দিকে চাছিল । হটাৎ মৃতপ্রায় দস্য বলিল,— “সতীশচন্দ্র তোমার মৃত্যু সন্নিকট ।” ভীতচিত্ত পাপী অার ও ভীত হইয়া সেইদিকে চাহিলেন,—সে আবার বলিল, “ আমি যে আঘাত করিয়াছি, তাহা হইতে আপনার নিস্তার নাই ।” তখন সতীশচন্দ্রের মুখ হইতে কথা বাহির হইল,—বলিলেন, “নরাধম! ভগবান আমাকে রক্ষা করিয়াছেন,—তোর আঘাতে সামান্ত মাত্র রক্ত পড়িয়াছে।” দয়া বলিল, “ সেই সামান্য আঘাতে আপনার প্রাণনাশ হইবে,— আমার ছুরিকা বিষাক্ত । প্রভু! আপনি আমাকে কি জানেন না?” সতীশচন্দ্র ক্ষণাৎ আপনার পুরাতন ভৃত্যকে চিনিলেন, বলিলেন,— * নরাধম, তোকে কে এরূপ প্রভুভক্তি শিখাইয়াছিল ?” তথ্য অতি ক্ষীণ ও স্বলিত স্বরে উত্তর করিল, “ পা-পা-পাপিষ্ঠ শকুনি সতীশচন্দ্র তখন ক্রোধে অধীর হইয়। বলিলেন, “আমিও ভাবিয়াছিলাম সেই পামরেরই এই কাৰ্য্য। পৃথিবীতে তাহার মত ভীষণ পাপী আর নাই,—নরকেও নাই। কিন্তু তুই আমার পুরাতন ভূত্য তুই আমার বধের সঙ্কল্প করিয়াছিলি ?” ভূত্য আরও ক্ষীণস্বরে উত্তর করিল, “শ–শ—শকুনি অনেক লোভ দেখাইয়াছিল,—লো—লোভে পড়িলে জ্ঞান থাকে না, লোভে পড়িয়া পাপ করিলাম, প্রাণ হারাইলাম—প্র-প্র—প্রভু ক্ষ-ক্ষমা ৷” আর কথা বাহির হইল না, শরীর হইতে প্রাণ বহির্গত হইল, ওষ্ঠস্বয় কঁাপিতে কঁাপিতে স্থির হইল ; নয়ন দুইটী আকাশের দিকে চাহিয়া রহিল। চম্রালোকে সে আকৃতি ভীষণ দেখাইতে লাগিল, বিশেষ সতীশচন্দ্রের হৃদর যেরূপ ভয়ে ও চিন্তায় প্রপীড়িত হুইতেছিল, তিনি সে দর্শন সহা করিতে পারিলেন না, মৃতদেহের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “ভূত্য ! তোর অপেক্ষ জ্ঞানী লোকও লোভে পড়িয়া জ্ঞান হারাইয়াছে,—তোর অপেক্ষা ভীষণ や o