ৰঙ্গবিজেতা । ఫిM বাহারা পারেন অনুমান করুন। তাহার স্বর্গ, মৰ্ত্ত্য, পাতাল বিস্মৃত হইলেন , জগৎসংসার বিস্কৃত হইলেন ; বৃষ্টি, বায়ু, মেঘগর্জন বিস্তৃত হইলেন ; চিত্তা, দুঃখ, বিপদ বিস্কৃত হইলেন ; স্থান, কাল, বিস্তৃত হইলেন । কেবলমাত্র পরস্পরের আলিঙ্গনসুখ ভিন্ন তাহাদের পক্ষে জগৎসংসারে যেন আর কিছুই নাই ! ইন্দ্রনাথ সরলার অশ্রুঞ্জীবিত কপোলদ্বয় পুনঃ পুনঃ চুম্বন করিতে লাগিলেন, ললাট ও ওষ্ঠ দ্বয় পুনঃ পুনঃ চুম্বন করিতে লাগিলেন । সরল প্রায় সংজ্ঞাশুন্য হইয়। বৃক্ষোপরি বল্লরীর ন্যায় ইন্দ্রনাথের শরীরের উপর গলিয়া পড়িল । র্তাহাদিগের মুখ বর্ণনাতীত। এ জগতে সেরূপ সুখের মুহূৰ্ব অতি বিরল,—সেরূপ অসীম তানন্দ যাহার জীবনে একবার বটে সেই ভাগ্যবান, অধিকবার কাহারও ঘটে না । 锡 অনেকক্ষণ পর ইন্দ্রনাথ বলিলেন, “ সরলা তোমার জন্য আমি অনেক চিত্ত করিয়াছি।” $ সরল উত্তর করিতে পারিল না, জলে নয়ন ভাসিয়া গেল। সে অশ্রপরিপূর্ণ লোচন চুম্বন করিয়া ইন্দ্রনাথ আবার বলিলেন, “ সয়ল তুমি আমার জন্য ভাবিতে *ি এ কথায় সরল কি উত্তর দিবে ? মনে মনে ভাবিল, “ ভাবিতাম কি না ভগবান জানেন।” প্রকাশ্যে কিছু বলিতে পারিল না । আবার নয়নজলে বদলমণ্ডল ভাসিয়া গেল । - কাহার অধিক কথা নাই, কিন্তু তাহাদিগের মনের কি ভাব, পরস্পরের প্রতি সেই অবরিত আনন্দtশ্রীর বিন্দুতে তাহা প্রকাশ পাইতেছিল । আবার অনেকক্ষণ উভয়ে নীরবে রহিলেন । পরে ইন্দ্রনাথ পুনরায় বলিলেন, " সরলা, এ ছয়মাস তোমাকে না দেখিয়া যে আমার কিরূপে কাটিয়াছে, স্মরণ করিলে হৃৎকম্প হয় । যুদ্ধের সময়, বিশ্রামের সময়, কার্যের সময়, নিদ্রার সময়, তোমার নিৰ্ম্মল মুখচন্দ্রিম আমার হৃদয়দর্পণে প্রতিবিম্বিত থাকিত ।” সরল উত্তর করিল,—“ ইন্দ্রনাথ ’ কথা আপন হইতেই রুদ্ধ হইল, ছর মাসের পর ইন্দ্রনাথের নিকট তাহার এই প্রথম কথা, একটা কথা কহিতেই লজ্জায় কণ্ঠ রুদ্ধ হইল । মুখে কথা আসিয়াছে, ওষ্ঠ কম্পিত হইতেছে, কিন্তু কথা বাহির হইতেছে মা, লজ্জায় অধোবদন হইল । श्रृं
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।