পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্গবিজেতা ৷ సెలీ বনাশ্রম হইতে চন্দ্রশেখর আপন কস্তাকে সঙ্গে করিয়া ইচ্ছাপুরে আসিলেন। রুদ্রপুর হইতে অমল বৃদ্ধ স্বামীকে সঙ্গে করিয়া আনিল । রাজা টোডরমল্ল আসিবেন শুনিয়া সকলেই সকল দিক্ হইতে ইচ্ছাপুরে আসিতে লাগিল । -- ইন্দ্রনাথ যে জমীদার নগেন্দ্রনাথের পুত্র তাহা সকলেই জানিতে পারিল । সরল একদিন গোপনে সুরেন্দ্রনাথকে কহিল, “ আমি তোমাকে দরিদ্র ব্রাহ্মণপুত্র বলিয়া ভাল খাদিতাম, জমাদারপুল্ল জানিলে ভয়ে কথা কহিতাম না ।” ইন্দ্রনাথ সহস্তবদনে উত্তর কবিলেন, “ দোহাই ধৰ্ম্ম! সেজন্ত এখন যেন পুরাতন ভালবাম ভুলিও না ।” সরলা বলিল, “ পারিপ কেন ? বলিয়াই বেগে পলায়ন করিল। অমলা অধিকতর লজ্জিত হঠল । রুদ্রপুরে ইন্দ্রনাথকে সামান্য ব্রাহ্মণপুত্র বলিয়া কত তামাসা করিন, এক্ষণে তাকে জমাদ্রারপুত্ৰ জানিয়া লজ্জায় কথা কহিতে পারিল না, বিস্তু সুরেন্দ্রনাথ অল্পে ছাড়িবার লোক নহেন। একদিন কাহাকেও কিছু না বণিয়া ন মানদাসের বড়ার ভিতর প্রবেশ করিলেন। তমলা তাহাকে দেখিয় দেড়হাত ঘোমটা টানিল । ইন্দ্রনাখ হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “ বটে, এই বুঝি পুরাতন ভাল বাসা ?” -س. অমলা লজ্জিত হইল, অথচ তামাস ছাড়িল না, অবগুণ্ঠনের ভিতর হইতে বলিল,— ণ আপনি পরের বাড়ীর ভি নর গিয়া এইরূপ মেয়েদের সঙ্গে আলাপ করেন, আমি সরলাকে বলিয়া দিব ।” ইন্দ্রনাথ উত্তর করিলেন, “অমলা তুমি আমাকে পর মনে কর,--আমি তোমাকে পর মনে করি না ।" অমলা এবার অপ্রতিভ হইল। অবগুণ্ঠন তুলিয়া বলিল, “ ਵੇਲ਼--- সুরেন্দ্রনাথ আমায় ক্ষমা কর, আর আমি তোমার নিকট লজ্জা করিব না ।” সেই অবধি অমলার লজ্জা ভঙ্গ হইল । মহাশ্বেতা যে রাজা সমরসিংহের বিধবা, তাহ। জালিয়া লোকে তাধিকতর বিস্মিত হইল । এখন আর মহাশ্বেতা দরিদ্র নহেন, রাজা টোডরমল্পের আজ্ঞানুসারে সমরসিংহের বিস্তীর্ণ অধিকার তাহার বিধবা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, সুতরাং এক্ষণে মহাশ্বেত আপন কস্তার সহিত সুরেন্দ্রনাথের বিবাহ দিতে অসন্মত ছিলেন না । 冷