বঙ্গবিজেতা । ই গু ও দোষ হয়, হরিদাসের পত্নীর মৃত্যুর পর সেই সকল দোষ হইতে লাগিল – ক্রমে র্তাঙ্গার গৃহ নানা প্রকার লোকের সমাগমস্থান হইয়। উঠিল। “ সুতরাং আমি তাহার গুহ হই সন্ত পলাইবার উদ্যোগ দেখিতে লাগিলাম ;–কিন্তু একটী কারণের জন্য সহসা পলাইলাম না । আমার বোধ হইল যেন হরিদাসের আমার প্রতি নিষ্ঠু ল হাস পাঠন্তে লাগিল । আর আমাকে কখন প্রহার করিতেন না,--- বশেষ কারণ না থাকিলে আমাকে গালিও দিতেন না । যখন গালি দিতেন তখনও সহাস্য বদনে দুই একটা কথ। বলিরাই ক্ষান্ত হইতেন। তাহ'র সহস্ৰ দোষ থাকিলেও আমি তাহাকে প্রভু বলিয়া মান্য করিতাম, ভাবিলাম, উনি সংলোক হউন আর অসৎ লোকই হউন, ত:মি দাসা, যতদিন খাইতে পাইব, ততদিন সেবা করিব । “ হতভাগিনীর বৃথা আশা ! এক দিন সমস্ত দিন কার্য্যের পর প্রায় দুই প্রহর রজনীর সময় তাপন গৃহে শয়ন করিতে গেলাম, দেখিলাম,— পিভা আপনার নিকট আমার সকল কথা বলিতে লজ্জা করে, —সংক্ষেপে, সেই পামর হরিদাস আমার সতীত্ব হরণে চেষ্টা পাইল ; আমি তখন বুঝিতে পারিলাম, কি জন্য তিনি ইদানীং আমার প্রতি দয়ালু হইয়াছিলেন, কি জন্য অামাকে দেখিলেই হাসিতেন । চীৎকার করিয়া আমি ঘর হইতে বহির্গত হইলাম । সেই দিন, সেই দুইপ্রহর রজনীতে তরুণ বয়সে অসহায় হইয়া সংসারসাগরে ঝাপ দিলাম ।
- পিত। আপনি যে গঙ্গাসাগরে আমাকে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন, তাহার কুল অাছে কিন্তু আমি যে সংসার-সাগরে ঝাঁপ দিলাম, তাহার কূল নাই । কিছু দিন নগর হইতে নগরে ভিক্ষা করিয়া জীবনধারণ করিতাম, অবশেষে,”—
কমলা লজ্জায় একেবারে মুখ অবনত করিলেন, কিন্তু তৎক্ষণাৎ লজ্জা সম্বরণ করিয়া বলিলেন, “ অবশেষে মুঙ্গের নগরে এক ব্রাহ্মণপুত্র আমাকে বিবাহ করিলেন । পিতা আমি বিধবা নহি, আপনার জামত এক্ষণও জীবিত আছেন।” এই বলিয়া যথায় উপেন্দ্রনাথ ছিলেন, কমলা সেই দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন,–কিন্তু উপেন্দ্রনাথ তথায় নাই। এরূপ সময়ে সহসা রোদননিনাদ শ্রুত হইল । সকলে চাহিয়া দেখিল, উপেন্দ্রনাবিক নগেন্দ্রনাথের পদতলে পড়িয়া রোদন করিতেছেন, এ স্বরেন্দ্রনাথ তাছার পার্থে দণ্ডায়মান হইয়া দুই হস্তে চক্ষু আবরণ করিয়া