ই ও }ি ৰঙ্গবিজেতা । রোদন করিতেছেন । সকলে দেখিয় বিস্থিত হইল ও যৎপরোনাস্তি উৎসুক ट् हेळा । - উপেন্দ্র নাবিক বলিলেন, “পিত ক্ষমা করুন, আমি আপনাকে এই বৃদ্ধ বয়সে যে কষ্ট দিয়াছি, স্মরণ করিয়৷ হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে। তাপনার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ব্যান্ত্ৰে খায় নাই, হতভাগ্য এখন জীবিত আছে। আর আমি আপনাকে ত্যাগ করিয়া কোথাও যাইব না ।” আনন্দীশ্ৰীতে বৃদ্ধ নগেন্দ্রনাথের বদনমণ্ডল প্লাবিত হইল, বলিলেন, " উপেন্দ্রনাথ! তোমার দোষ নাই, আমিই পাপ করিয়াছিলাম, আমিই পাপাত্মা, তোমাকে গৃহ ইষ্টতে বহিষ্কৃত করিয়া দিয়াছিলাম, কিন্তু ভগবান জানেন, সে পাপের ফল আমি অনুভব করিয়াছি, তুমি যাইবার পরই আমার গৃহশূন্য হইল, তোমার মাতা দুঃখে প্রাণত্যাগ করিলেন । হতভাগিনি । যদি আজ জীবিত থাকিতে, অশ্বিনীকুমারের ন্যায় দুই পুত্রকে ক্রোড়ে করিতে পারিতে ” এই বলিয়া বৃদ্ধ আবার ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । উপেন্দ্রনাথও মান্ত র কথা স্মরণ করিয়া শেংকে ব্যাকুল হইলেন | আজি ইচ্ছাপুর নগর আনন্দলহরীতে ভাসিয়া গেল । প্রজারঞ্জক জমিদার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ফিরিয়া পাইয়াছেন, চন্দ্রশেখর আপন কন্যাকে ফিরিয়া পাইয়াছেন, সেই জোষ্ঠ পুত্রে ও সেই কন্যার বিবাহ হইয়াছে। এই আনন্দের বাৰ্ত্ত সেই রজনীতেই ইচ্ছাপুরে সকলেই জানিতে পারিল। পথে পথে, গৃহে গৃহে শঙ্খধ্বনি হইতে লাগিল, আনন্দের ঢাক বাজিম্ভে লাগিল, পুরবাসীগণ বৃদ্ধ নগেন্দ্রনাথও তাহার পুত্রের উপর পুষ্প বর্ষণ করিতে লাগিল,—পথ ঘাট আনন্দে ভাসিয়া গেল, প্রভাত হইবার পূৰ্ব্বে সেই সুখসংবাদ নগেন্দ্রনাথের জমাদারীর সকল গ্রামে রাষ্ট্র হইল । প্রাতঃকালে সুরেন্দ্রনাথ জ্যেষ্ঠের চরণযুগলে প্ৰণিপাত করিয়া সাশ্রুলোচনে বলিলেন, "ভ্রাতঃ ! আপনার অজ্ঞাতবাসে আমি আপনার প্রতি কত অশ্রদ্ধা দেখাইয়াছি, তাহা ক্ষমা করিবেন,—আমি জানিতাম না, ভ্রমবশতঃ করিয়াছি।” উপেন্দ্রনাথ উত্তর করিলেন, “ সুরেন্দ্রনাথ ! তোমার ক্ষম। চাহিবার অবশ্যক নাই, জগৎসংসারে আমি তোমার মন্ত ভ্রান্ত পাইব না, তোমার সাহস, বীরত্ব ও যুদ্ধকৌশলের যশে বঙ্গদেশ যেরূপ পরিপূর্ণ হইয়াছে, দরিত্রের প্রতি দয়া, প্রজাবৎসল্য ও অমায়িকত প্রভৃতি সদগুণেও তুমি সেইরূপ ভূষিত আছ । আজি যেন আমি নগেন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ পুত্র হইয়াছি, কিন্তু যখন তুমি আমাকে দরিদ্র নাবিক বলিয়া জানিতে, তখনও আমার
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/২০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।