ৰঙ্গবিজেতা । 氯吻号 আসিয়াছেন ; সুতরাং বঙ্গদেশের মধ্যে যেস্থানে যে কোন আশ্চর্য্য বস্তু ছিল, তাহ রাজার সম্মুখে প্রদর্শিত হইবার জন্য সমানীত হইয়াছিল। দূরদেশ হইতে খ্যাক্তিসম্পন্ন নিপুণ বাদ্যকর আপনার বাদ্য শুনাইয়। রাজা ও সভাসদগণকে সন্তুষ্ট করিতে লাগিল, দেশ দেশ হইনে সুন্দর গায়কগণ স্বরলিত গীতধ্বনিতে সকলের মন মুগ্ধ করিতে লাগিল । নর্তকীগণ আiপন অতুল্য রূপরাশি বিস্তার কবিয়া ও নানা তাঙ্গভঙ্গী ও সুললিত স্বরে সকলের হৃদয় অপহরণ করতে লাগিল। ঐক্ষজালিকগণ বিচিত্র ইন্দ্রজাল দেখাইয়া, যোদ্ধাগণ অদ্ভুত মল্লযুদ্ধ প্রদর্শন করাষ্টয়া, ধাতুঙ্কগণ বিস্ময়কর তীর বিক্ষেপ করিয়া, সকলেই আপনাপন অপরূপ কৌশল দেখাইয়। সভাসদগণকে পরিতৃগু করিতে লাগিল । অবশেষে কবিব যুদ্ধ আরম্ভ হইল । বঙ্গদেশে তৎকালে র্যাঙ্গর কবিশক্তিতে পারদর্শী ছিলেন, সকলেই রাজার নিকট আপনfপন গুণের পরিচয় দিবার জন্য উপস্থিত হইয়াছিলেন । একে একে সকলেই আপনাপল রচিত কবিতা পাঠ করিতে লাগিলেন । তাহর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাখ্যা ও অঙ্গভঙ্গা করিয়া দর্শক ও শোভাদিগের ছদয় নানারূপ ভাবে মুগ্ধ করিতে লাগিলেন। কেহ বা যুদ্ধের বর্ণন দ্বারা সকলকে উত্তেজিত করিতে লাগিলেন, যোদ্ধাদিগের খড়গ যেন স্বতঃই কোষ হইতে বহির্গত হইতে লাগিল। কেহ বা দেবদেবীর স্তুতি পাঠ করিয়া সকলের মন ভক্তি-পরিপূর্ণ করিতে লাগিলেন, কেহ বা প্রেমের কথা আনিয়া শ্রোতাদিগের হৃদয় দ্রবীভূত করিতে লাগিলেন, আবার কেহ দুঃখের কথা বলিয়। সভাসদগণের . চক্ষু জলে প্লাবিত করিতে লাগিলেন। কবিতার মোহিনী শক্তিতে যোদ্ধার : হৃদয় ও গলিতে লাগিল, যোদ্ধার নয়নে ও জল আসিল । সেই কবিমণ্ডলীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে, বিচার করা অতিশয় দুরূহ হইল । সভাসদগগণও সকলেই একবাক্যে দুই জনকে শ্রেষ্ঠ স্থির করিলেন, একজন যুবক ও অপর বৃদ্ধ। কিন্তু তাছাদের মধ্যে উৎকৃষ্ট কে, বিবেচনা করিয়া স্থিয় করা সহজ হইল না। অবশেষে রাজা টোডরমল্ল আদেশ কfরলেন,— “তাপনার আর একবার আপনাপন রচিত এক একটী কবিতা পাঠ করুন * যুবক উমার একটা স্তুতি পাঠ করিলেন, সে স্তুতি কি অপূৰ্ব্বভাব কি ভক্তিরস-পরিপূর্ণ! শুনিতে শুনিতে সভাসদগণ জগৎ-সংসার ভুলিয়া গেলেন, ঐহিক বাসনা ভুলিয়া গেলেন, এই সংসারের মায়া ভুলিয়া গেলেন। একেবারে ভক্তিরসে অভিভূত হইলেন। রহিয়া রহিয়া কবি যখন “মা”
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/২১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।