পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3y বঙ্গবিজেতা । অম। " কেন, তা জানি না, শুনিয়াছি, কোন পল্লীগ্রামে কোন এক গরিব ব্রাহ্মণীর মেয়েকে দেখিয়া মন হারাইয়াছেন । তা সেই মেয়ে ভিন্ন আর কাহাকেও বিবাহ করিবেন না । আমার সইকেই বা দেখিয়া থাকিবেন ।” সর । “আবার তামসী | আচ্ছা, বাপ বলছেন একজনকে বিবাহ করিতে, ছেলে তার একজনকে বিবাহ কবৃবেন ?” অম। " ত যার যাকে মনে ধরে ; বাপ যাহাকে বিবাহ করতে বলেন, তাহাকে যদি মনে না ধরে ?” সর । “ কেন ধরবে না ?” অম। “তুই যেমন টেবু, তোকে আর কত শিখাব । বলি, মাকে বল্ বিবাহ দিতে, তাহ হইলে সব শিখবি।” এই বলিয়। আবার সরলার গাল টিপিয়া দিল । এই প্রকার কথোপকথন করিতে করিতে উভয়ে নদীর ঘাটে উপস্থিত হইল । নদীর তীরে যাইয় এক অপরূপ দর্শন দৃষ্ট হইল। নিবিড় কৃষ্ণবর্ণ, দীর্ঘায়ত, ছিন্নবসন এক স্ত্রীলোক দণ্ডায়মান তাছে। তাহীর গলদেশে অস্থিমালা, হস্তে দণ্ড, শরীরে ভষ্ম, চক্ষু রক্তবর্ণ ও ঘূর্ণায়মান। দেখিয়া দুইজনই বিস্মিত হইল। অমল জিজ্ঞাসিল, “ তুমি কে গা ?” সে উত্তর করিল, “আমার নাম বিশ্বেশ্বরী পাগলিনী ’ অমলা বলিল, “ই ই, আমি বিশু পাগলীর নাম ওনিয়াছি। তুমি আগে এ গ্রামে একবীর আসিয়াছিলে না ?” বিশ্বে । * আসিয়াছিলাম।” অম । “তুমি না হাত দেখিতে জান ?” বিশ্বে জানি।” অম। "আচ্ছা, আমার হাত দেখ দেথি ।” পাগলিনী হাত দেখিয়া ক্ষণেক পর বলিল,-“ তুমি দেওয়ানের গৃহিণী হইবে।” অম। “দুর পালী, আমার স্বামী বর্তমান ; বলে কি না দেওয়ানের স্ত্রী হবে। আমার দেওয়ান উজিরে কাজ নাই, তামার বৃদ্ধ স্বামী বঁচিয়া থাকুক্‌ ৷ এখন বল দেখি, আমার সইয়ের কবে বিবাহ হবে ? বিবাহের ভাবনায় সইয়ের রাত্রিতে ঘুম হয় ন৷ ” পাগলিনী অনেকক্ষণ সরলার হস্তধারণপূর্বক নিরীক্ষণ করিতে লাগিল, মধ্যে মধ্যে তাহার মুখের দিকে চাহিতে লাগিল, আবার হস্ত দেখিতে 闵 লাগিল । অনেক ক্ষণের পর বলিল— |