পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షిపి శ్రీ ৰঙ্গবিজেতা । তোমার বিবাহ না হয়, পটেশ্বরী হইয়া আমার গৃহে অবস্থান কর, সরলা তোমার চরণসেবা করিবে, জীবনের ঋণ যদি পরিশোধ করা র্যায়, আমি যত্ন ও শুশ্রীধা দ্বারা তাহ শোধ করিব । পরে যখন তোমার বিবাহ হইবে, সে দিন প্রস্তান করিও ।” শেষ কথাটা শুনিয়া বিমল বলিলেন, “সে কবে ? বলিয়া একটু হাসিলেন। সে হাসি বিকট ও অস্বাভাবিক, উন্মাদিনীর মৰ্ম্মান্তিক বেদন হইলে ওষ্ঠে যেরূপ হাস্ত থাকে, এ সেইরূপ —স্বরেন্দ্রনাথ দেখিয়া চমকিত হইলেন | ক্ষণেক পর সুরেন্দ্রনাথ বিমলার পার্শ্বে উপবেশন করিয়া - অতিশয় শ্নেহের সহিত বিমলার হস্তদ্বয় আপনার হস্তে লইয়া করুণ বচনে বলিতে লাগিলেন--- “ বিমলা, তোমাকে দুঃখিনী দেখিয়া আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে, আমার জীবনধারণ করিতে আর ইচ্ছা হইতেছে না । জগতে ধৰ্ম্মপরায়ণ৷ পরোপকারিণীদিগের যদি এ অবস্থ হয়, তাহ হইলে এ অসার সংসারে কে বাদ করিবে ? তুমি’ আমার জন্য এরূপ কষ্ট পাইয়াছ, আমাকে এত বিপদ হইতে উদ্ধার করিয়াছ, তোমার দুঃখ যদি দেথিতে হইল, তখন আর এ সংসারে আমার মুখ নাই ; মানে, ঐশ্বর্ঘ্যে, সন্ত্রমে, প্রেমে আমার সুখ নাই ; পিতা, পিত্রালয়, সকল ত্যাগ করিয়া বনবাস করাই বিধেয় । বিমলা শান্ত হও, আমাকে চিরকালের জন্ত দুঃখী করিও না, আপনাকে চিরদুঃখী করিও না।” বিমল শাস্ত হইয়াছিলেন, তাহার উন্মত্ততায় আর কিছুই চিহ”নাই, নীরবে বসিয়া রহিয়াছিলেন । সুরেন্দ্রনাথের করম্পর্শ র্তাহার হস্তদ্বয় ঘর্ষে আপ্লুত হইতেছিল, স্বরেন্দ্রনাথের অঙ্গে সংস্পষ্ট তাহার অত্ব থর থর করিয়া কঁাপিতেছিল ও ঘৰ্ম্মাক্ত হইয়া সমস্ত বসন সিক্ত করিতেছিল, আর সুরেন্দ্রনাথের শোকপরিপূর্ণ করুণ মধুর বচনে তাহার নয়নধারা অবারিত বহির্গত হইয়া বক্ষঃস্থলের বসন একবারে সিক্ত করিয়া ফেলিয়াছিল। সুরেন্দ্রনাথ অতিশয় দুঃখিত হইলেন, কিঞ্চিৎ আশ্বাসও পাইলেন, কেননা যে ক্ৰন্দন কয়িতে পারে, ক্রমশঃ তাহার দুঃখের লাঘব হয় । পুনরায় সম্নেহবচনে বলিতে লাগিলেন;– 钱 " বিমলা, শান্ত হও ; এ জগতে কেবল মুখের জন্য কয়জন আইসে, কেবল দুঃখের জন্য কয় জন আইসে ? চিরকাল কাহারও স্থখ তিষ্ঠে মা । *T-f" প্ৰস্ত্রীবিয়োগ, ধনক্ষয়, মানহানি, আশায় নৈরাশ, প্রিয়তমের বিচ্ছেদ .. '.