পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o বঙ্গবিজেতা। دقة পুরষ্টবাহিরে আসিল, সরল দেখিল, তাহার বসন সিক্ত হইয়াছে ও ৭ -স্ব য় রক্তবর্ণ। আসিয়া সরলার কাপড়ের অঞ্চলে কি বাধিয়া দিল। সরল জিজ্ঞাসা করিল, “কি দিলে, সই ?”—অমল উত্তর করিল, “ ও কিছু নহে, পথে ক্ষুধা পাইবে, সেই জন্য কিছু মুড়ী আর ফুটকড়াই আঁচোলে {{ বাধিয়া দিতেছি ।—আমার মাথা খাও, ফেলিয়া দিও না ।” এই বলিয়া কাপড়ে ২০ট রৌপ্যমুদ্রা বাধিয়া দিল। অমল আবার বলিল, “ স্বামী পাইলে আমাকে মনে থাকিবে ত?” সরল উত্তর করিতে পারিল না, চক্ষে জল আসিল, কণ্ঠ রুদ্ধপ্রায় হইল। অমলা বলিল, “কঁাদিও না সই, আমি জানি, তুমি সইকে ভুলিবে না, কিন্তু পাছে ভুলে যাও, তাই আমার একটা চিহ্ন তোমার গায়ে রাখিয়া দি ” এই বলিরা আপন গলদেশ হইতে সোণার চিক লইয়া সরলার গলায় পরাইয়া দিতে গেল। সরল বাধা দিবার চেষ্টা করিল, তাহাতে অমলা বলিল, “ যদি না লও, তবে আমি জানিব, আমাকে ভুলিয়া } গিয়াছ ;–যদি আমাকে কখন ফিরাইয় দিতে চাহ, তবে জানিব, আমাকে ভুলিয়া গিয়াছ। সরল নিরুত্তর হইল। অমলা তাহাকে সেই চিক পরাইয়া দিতে লাগিল । পরাইয়া দিতে দিতে অমল সেই পূর্ণচন্ত্রের আলোকে সরলার বালিকামুখ নিরীক্ষণ করিতে লাগিল । সেই নিবিড় কুঞ্চিত কৃষ্ণকুন্তলবেষ্টিত মুখখানি দেখিতে লাগিল, সেই নীলোৎপল সদৃশ প্রেমবিস্কারিত নয়ন দুটা নিরীক্ষণ করিতে লাগিল, সেই সুমধুর ঈষৎ-বিভিন্ন ওষ্ঠ দুইখানি দেখিতে লাগিল । মনে মনে ভাবিল, এই প্রেমপুৰ্বলীকে কি আর কখন হৃদয়ে আলিঙ্গন করিতে পাইব না ? মনে এই ভাবনা উদয় হওয়ায় তার চিত্ত ংযম হইল না। - চিক পরাইবার ছলে অমলা সরলাকে আপন হৃদয়ের উপয় আনিল, স্নেহভরে গাঢ় আলিঙ্গন করিল, নয়নের নিকট নয়ন লইয়া আসিল, কম্পিত অধরোষ্ঠে কম্পিত অধরোষ্ঠ স্পর্শ করিল। সরলা দেখিল, চিক পরান আর শেষ হয় না, দেখিল, আপনার কাপড় জলে তাসিয়া যাইতেছে । জিজ্ঞাসা করিল, “সই কাদিতেছ?” অমল বলিল, “আমি কাদিতেছি না, তুমি কঁদিতেছ?—আমার ঘুম পাইয়াছে, আমি শুইগে যাই।”—এই বলিয়া বেগে গৃহের ভিতর চলিয়া গেল। সরলা ধীরে ধীরে আপন কুটারাভিমুখে স্ট্রল। অল্প দুর যাইয় অমলার গৃহের দিক হইতে অতি মূছ ক্ৰন্ধনধ্বনি - नेण्ड পাইল। রমণীকণ্ঠ-নিঃস্থত হৃদয়বিদারক মৃদু রোদনধ্বনি শুনিতে 3. جيلاد