wడిస్ట్రీ বঙ্গবিজেক্ত । “ বিমলী, কেন মিথ্যা ভয় করিতেছ, আমাকে যাইতেই হইবে যত্নবার সময় রোদন করিও না ।” বিমল উত্তর করিলেন, “পিতা, মিথা ভয় নহে, কল্য য়জনীধেগে আমি স্বপ্ন দেখিয়াছিলাম, বোধ হইল যেন স্বগীয় মাত দেখা দিলেন,— সাশ্রলোচনে যেন অতি মৃদুস্বরে বলিলেন, ‘পাপের প্রায়শ্চিত্তের বিলম্ব নাই, বলিয়াই সহসা অন্তৰ্হিত হইলেন । এখনও বোধ হইতেছে, তাহার শুষ্ক মুখখানি,—ৰ্তাহার অঞপূর্ণ লোচন দুইটী দেখিতে পাইতেছি। কি পাপ করিয়াছি, বলিতে পারি না ; কি পাপে স্বহময়ী মাতাকে হারাইলাম, জানি না ;–আবার কি পাপের প্রায়শ্চিত্ত সমাগত, ভগবানই জানেন । পিতা, ক্ষমা করুন। তামার ভাবনা হইতেছে, আপনি প্রস্থান করিলে আর এ আলয়ে প্রত্যাগমন করিবেন না ।” এই বলিয়। বিমলা বাস্পাকুলিতলোচনে পিতার নিকট যাইয়া তাহার হৃদয়ে আপন বদনমণ্ডল লুকাইলেন। বিমলার যদি স্থিরভাব থাকিত, দেখিতে পাইতেন যে, পিতারও মুখমণ্ডল সহসা বিকৃতি ধারণ করিয়াছিল । স্বপ্নকথা শুনিয়া সতীশচন্দ্র শিহরিয়া উঠিলেন,–যেন ভয়াবহ কোন পুৰ্ব্বকথা হয়ে সহসা জাগরিত হইল, যেন কোন গৃঢ় পাপের প্রায়শ্চিত্ত সেই ক্ষণেই আরম্ভ হইল। যখন বিমল পিতায় হৃদয়ে মুখ রাখিয়া রোন করিতেছিলেন, পিতার সান্থনা করিবায় আর ক্ষমতা রছিল না । কিঞ্চিৎ পরেই সতীশচন্দ্র আপন চিত্ত সংযম করিয়া স্থিরভাবে বলিন্তে লাগিলেন “বিমলা, এ সকলই তোমার মিথ্যা ভয় । দিবাযোগে তুমি কেবল মির্থ্য চম্ভ কর, তাহাতেই রজনীষোগে সেই প্রকার ভয়ের স্বপ্ন দেখ। আমি দেখিয়াছি, গত কয়েক দিন অবধি তুমি কেবলই চিত্তামগ্ন রহিয়াছ, আমাকে যথার্থ করিয়া বল, সে মহাচিস্তার কারণ কি ?” -বিমল ধীরভাবে উত্তর করিলেন, “পিতা, আপনি যখন জিজ্ঞাসা করিলেন, আমি অবশুই তাছার উত্তর করিব; আপনার নিকট লুকাইবার “আমার কোন কথাই নাই। আপনি সে মহাচিন্তার কারণ । অদ্য প্রায় এক মাস হইতে আপনাকে কোন গভীর দুঃখে বা চিত্তায় মগ্ন দেখিতেছি, দিন দিন সেই চিন্তা গাঢ়তর হইতেছে । আপনার আহারের সময় খাদ্য* দ্রব্যে মন থাকে না, রজনীকালে আপনায় নিদ্রা হয় না, যদি নিদ্রা হয়, সে কুস্বপ্ন-পরিপূর্ণ। আমি কতবার দিবাযোগে লুকাইয় আপনুঃখ-কক্ষে গিয়াছি; যতবার যাই, দেখি, আপনি সেই চিত্তায় মগ্ন ৮ * rež* আমি কতবা আপনার শয়নঘরে গিয়াছি, যখন যাই, দে
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।