পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গবিজেক্ত । 83 মাসে }ালে কেবল ধননঞ্চরে কেন বিত্রত রহিয়াছেন ?—তদপেক্ষ মহত্তর সুখে কেন একেবারে বঞ্চিত রহিয়াছেন ? আর ষদি হয়, তবে বলুন, আমারও “ বিষয়ী ’’ লোক ছুইবার চেষ্টা করিয়া দেখি । পাঠক মহাশয় যদি আমাদের মত দরিদ্র লোক হয়েন, যদি ঈর্ষাপরবশ হইয়। কখন “বিষয়ী” লোকের বিষয়ের দিকে নিরীক্ষণ করিয়া থাকেন, কখন যদি সতৃষ্ণনয়নে রাস্ত হইতে উকী ঝুকি নারিয়া বাবুর বৈঠকখানার ঝাড়-লণ্ঠনের প্রতি নয়নপাত করিয়া থাকেন, যদি কখন অর্থের আবাসস্থানকে সুখের আবাসস্থান মনে করিয়া থাকেন, তবে আসুন একবার লক্ষপতি সতীশচন্দ্রের অবস্থা দেখিয়া মন শান্ত করি,—লোভ দূর করি । সেই কক্ষে একাকী বসিয়া কিছুক্ষণ সতীশচন্দ্র চিন্তা করিতে লাগিলেন । সতীশচন্দ্রের হৃদয় পাপে কলুষিত, পাপান্ধকারে আবৃত, সেই পাপরাশির মধ্যে একটমাত্র পুণ্য ছিল,—বিমলার প্রতি নিৰ্ম্মল অপত্যস্নেহ স্বল্প আলোক-রেখার ন্যায় সেই পাপান্ধকারের মধ্যে দেখা যাইত । কন্যাকে হৃদয়ের সহিত ভাল বাসিতেন, কন্যাকে অতি স্নেহের সহিত লালনপালন করিতেন, স্ত্রীবিয়োগের পর অবধি কন্যার সহিত অনেক সময়ে বন্ধুর মত ব্যবহার করিতেন,—বিযয় কৰ্ম্মের কথাও কন্যার সহিত আলোচনা করিতেন, এইজন্যই কন্যাও কখন কখন পিতাকে বন্ধুর মত উপদেশ দিতে সাহস করিতেন । বিমলাও অতিশয় স্নেহবতী কন্যা, পিতার মুখবৰ্দ্ধন ভিন্ন তাহার আর কোন লালসা ছিল না। কিন্তু নিতািত্ত সেহবর্তী হইয়াও বিমলা উন্নতচরিত্রা, ধৰ্ম্মপরায়ণ ও মানিনী—পিতাকে কপটাচারী দেখিলে বৎপরোনাস্তি ক্ষুব্ধ হইতেন। আলোকের উদয়ে অন্ধকার লীন হয়, লত্যের ও সরলতার সম্মুখে পাপ ও কপটতা স্বভাবতঃ ভীত হয়, সরল বিমলার সম্মুখে সতীশচন্দ্র নিরুত্তর হইতেন। সতীশচন্দ্রের চরিত্র কতদূর পাপে কলুষিক্ত, তাছা বিমলা জানিতেন না ; ভক্তিভাজন পিতার চরিত্রে যে অধিক পাপ আছে, তাহ বিমলার নিৰ্ম্মল অন্তঃকরণে একবারও স্থান পায় নাই ; তথাপি পিতার আচারব্যবহার দেখিয়া সম্প্রতি বিমলার চিত্ত সন্দেহু-দোলায় দুলিত হইয়াছিল ও সেই সনোহ তাহার যার পর মাই যাতনার কারণ হইয়াছিল। কখন কখন একট ঘটনাতে, বা একটী কথাতে, বা একটী সঙ্গীতে সহস। আমাদের হৃদয়ের কবাট খুলিয়া যায়, সাগরতরঙ্গের দ্যায় অনন্ত চিন্তালহরীতে সহস হৃদয় প্লাবিত হয় ; বহুকালের বিস্তুত কথা সহসা স্মরণপথে * উদয় হয়। স্নেহবতী কস্তার সঙ্গেহ তিরস্কার-বচনে যেন সেই প্রকায় 岱