"বিজেতা t 8岱 কাৰ্য্যেই ব্যস্ত, এই জন্যই এতদিন পরিত্রাণ লাভ করিয়াছি। এক্ষণে টোডরমল্ল পুনরায় সেনাপতি ও সুবাদার হইয়া মুঙ্গেরে আসিয়াছেন, আর নিস্তার নাই ।” শকু “ যে কৌশলে এতদিন কথা গুপ্ত ছিল, সে কৌশল এক্ষণে ব্যর্থ হইবে কেন ?” সতী ! * যে কৌশলে হোসেনকুলী ও মজফফর পরাস্ত হইয়াছিলেন, দূরদর্শী টোডরমল তাহাতে পরাস্ত হইবেন না,-তুমি রাজা টোডরমল্লকে জান না ।” শকু। “কিন্তু এই দুরদর্শী রাজাই একবার এই কৌশলে পরাস্ত হইয়ছিলেন ।” সতী । “সত্য, কিন্তু সে বার দুই এক মাসের জন্য অসিয়াছিলেন,— এবার স্ববাদার হইয়! আসিয়াছেন, অনেক দিন বাস করিবেন। শকুনি । আমাকে নিবারণ করিও না, আমি তাহার নিকট সমস্ত বৃত্তান্ত বলিয়া ক্ষম। প্রার্থনা করিব,—তিনি একবার আমাকে ক্ষমা করিয়াছিলেন, পুনরায় ক্ষম। করিলেও করিতে পারেন । তাহার পর আমি এ পাপ সংসারে থাকিব ন!— যোগী হইয়া এই ঘের পাপের প্রায়শ্চিত্ত আরম্ভ করিব।” শকু। “তাহ হইলে আপনাকে ইচ্ছাপুৰ্ব্বক সংসার ত্যাগ করিতে হইবে না । প্রিয়সুহৃদ সমরসিংহের হত্যাকারককে রাজা টোডরমল্ল অতি শীঘ্রই জল্লাদহস্তে সংসার ত্যাগ করাইবেন ।” এই ব্যঙ্গ বাক্যে সতীশচন্দ্র মৰ্ম্মান্তিক বেদন পাইলেন, কিন্তু কিছু বলিলেন না। বিবেচনা করিয়৷ দেখিলেন, শকুনির কথাই সত্য । গুপ্তকথা অপ্রকাশ থাকার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু প্রকাশ হইলে প্রাণরক্ষার কিছুই সস্তাবনা নাই । অনেকক্ষণ চিত্তা করিয়া বলিলেন-- “শকুনি! তুমি আম অপেক্ষাও পাপিষ্ঠ, কিন্তু যদি তুমি মূৰ্ত্তিমান পাপ হও, তথাপি তোমার পরামর্শ অবলম্বন ভিন্ন আমার আর গতি নাই । তোমার তর্ক অলঙ্ঘনীয় ।” * শকু। “ আপনার সহিত তর্ক করা আমার সন্তবে না ; কিন্তু কাহার মাথার উপর মাথা আছে যে, বঙ্গদেশের দেওয়ানের বিরুদ্ধে সুবাদারের নিকট অভিযোগ করিতে যাইবে ? প্রভু! আমার কথা অবধারণা করুন,যে কথা ছয় বৎসর গুপ্ত আছে, তাহ প্রকাশিত হুইবে না । অামি আপনার • নিকট পণ করিতেছি, যদি একথা না গুপ্ত রাখিতে পারি, তবে আপনার সম্মুখে প্রাণত্যাগ করিব।” 嘎 多
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।