“འོད།, বঙ্গবিজেতা । 8 সুতী । "না, সেই এক বিষয়ে এখনও ভাবনা আছে, সমরসিংহের বিধবা শুনিয়াছি ভয়ানক স্ত্রীলোক, টোডরমল্ল দেশে আসিলে হয়ত সেই একটা কাণ্ড করিয়া বসিবে ।” শকু। “সে ভয় করিবেন না। টোডরমল্ল ত্যাসিবার অগ্ৰেই সমরসিংহের বংশের সকলেরই মুখ বদ্ধ হইবে।” : সতী । " তবে কি আমরা যে চর রুদ্রপুরে পাঠাইয়াছিলাম, তাহার সমরসিংহের বিধবাকে ধরিয়া আনিতে পারিয়াছে ?” শকু। “ না, এখনও পারে নাই, কিন্তু সে কাৰ্য্য শীঘ্রই সিদ্ধ হইবে।” সতী । “পারে নাই কেন ?” শকু। “শুনিলাম, তাহার। দুই একদিন পূৰ্ব্বেই সমাচার পাইয়াছিল, সেই পাগলিনী সমাচার দিয়াছিল।” সতী । “পিশাচী ! আমার সকল কৰ্ম্মেই বাধা দেয়, তাহণকে ধরিয়া আনাইতে পার না ?” শকু। চেষ্টার ত্রুটি নাই, কিন্তু তাহার কিছুমাত্র সন্ধান পাই নাই। বোধ হয়, তাহার যথার্থই পৈশাচিক বল আছে, তাহা না হইলে তামদিগের সকল গুপ্ত অনুসন্ধান জানিতে পারে কিরূপে, না হইলে একশত চরেও তাহার অনুসন্ধান পাইতেছে না কেন ?” সতী । " তবে এক্ষণে উপায় কি ?” শকু। "চিত্ত করিবেন না । শীঘ্রই সকলেরই মুখ বদ্ধ হইবে । আর অধিক রাত্রি নাই, আপনি বিশ্রাম করুন, শকুনি শৰ্ম্মার মন্ত্রণা হইতে কাহারও নিস্তার নাই ।” এই বলিয়া শকুনি আপন কক্ষে প্রস্থান করিলেন । যাইবায় সময় দুই একবার সতীশচন্দ্রের দিকে চাহিয়া দেখিলেন, ভাবিলেন—“ তোমারও নিস্তার নাই ।” সতীশচন্দ্রও শয়নকক্ষে গমন করিলেন । সন্ধ্যাকাল অববি মনে যে অপূৰ্ব্ব ভাবের উদয় হইয়াছিল, তাহtষ্ট আলোচনা করিতে লাগিলেন । উন্নতচরিত্রবিমলার তিরস্কায়, আপন হৃদয়ের ভীরুতা, পূৰ্ব্বকথা স্মরণ, শকুনির সাত্বন, সমরসিংহ, সমরসিংহের বিধবা, পাগলিনী, ইত্যাদি সমস্ত কথা আন্দোলন করিতে লাগিলেন । শীঘ্রই গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত হইলেন ।
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।