বঁগবিজেতা । ва জুকুমার নিরাশ্রয় ব্রাহ্মণপুত্রকে আশ্রয় দিয়াছিলেন,-সেইদিন অবধি স্থদয়ে কালসৰ্প ধারণ করিয়াছিলেন । তীক্ষবুদ্ধি শকুনি শীঘ্রই সতীশচন্দ্রের হৃদয় বুঝিয়াছিল, সতীশচন্ত্রের তুৰ্দ্ধমনীয় উচ্চাভিলাষ লক্ষ্য করিল ; সেই ভীষণ অগ্নিতে দিন দিন আহুতি দিতে লাগিল ; আহুতি পাইয়। আরও জলিয়া উঠিল ; শিখা দিনে দিনে গগনস্পশা হইতে চলিল। এই ঘোর মদে মত্ত হইয়া সতীশচন্দ্র দিগবিদিকৃ জ্ঞান হারাইলেন, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম জ্ঞান হারাইলেন, একেবারে অন্ধপ্রায় হইলেন। শকুনি সুযোগ পাইল । অন্ধকে কুটিল পথে লইয়া যাওয়া দুরূহ নহে, মৃৎপরামর্শ হইতে কুপরামর্শ দিতে আরম্ভ করিল ; প্রভুকে সৎপথ হইতে কুপথে লইয়৷ চলিল। অবশেষে এমন ঘোর পঙ্কে নিমগ্ন করিল যে, তথা হইতে উদ্ধার হইয়। প্রত্যাবৰ্ত্তন করা মনুষ্যের সাধ্য নহে। তখন সতীশচন্দ্রের চক্ষু উল্মীলিত হইল, ক্রমে ক্রমে ভ্ৰম দেখিতে পাইলুেন। কিন্তু তখন পশ্চাৎ তাপ ভিন্ন উপায়ান্তর নাই । শকুনির মনস্কামনা সিদ্ধ হইল, প্রভুকে সম্পূর্ণরূপে হস্তগত করিল। শকুনিকে আশ্রয় দিবার ੋਂ পরেই সতীশচন্দ্র তাহার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি লক্ষ্য করিয়াছিলেন । শকুনিয় বিনীতভাবে সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন, তাহার পরামর্শে চমৎকৃত ও প্রীত হইয়াছিলেন, দিন দিন তাঁহাকে অধিকতর স্নেহ করিতেন, আপনার পুত্ৰ নাই বলিয়া শকুনিকে • পুত্রের মত তাল বাসিতেন। কখন তাহাকে পোষ্য-পুঞ্জ করিবার কামনা করিতেন, কখন বা তাহাকে আপন দুহিতার সহিত বিবাহ দিবার সঙ্কল্প করিতেন। কিন্তু নিরাশ্রয় ব্রাহ্মণ-কুমারের সহিত কন্যার বিবাহ দিলে মানহানি হইবে, এই ভয়ে শকুনিকে গৃহ-জামাত করিতে পারেন নাই। ক্রমে কন্যার বয়ঃক্রম অধিক হইতে লাগিল, কিন্তু কুলীনকন্যার বয়ঃক্রম অধিক হইলে ক্ষতি কি ? বিশেয সতীশচন্ত্রের স্ত্রীর মৃত্যু হওয়াতে কন্যার প্রতি স্নেহ দ্বিগুণ হইয়াছিল, কস্তার বিবাহ দিলে গৃহ শুন্য হইবে, এইজন্য বিবাহের বিলম্ব হইতে লাগিল, এইজন্য শকুনিকে জামাতা . করিয়া গৃহে রাখিবার সঙ্কল্প হইতে লাগিল । পরে যখন পাপপঙ্কে পতিত হইয়া সতীশচন্দ্রেয় চক্ষু উল্মীলিত হইল, তখন এই সঙ্কল্প আবার দূর হইল ; পাপ এরূপ ঘূণীর পদার্থ যে, একজন - পাপী অন্য জনকে ভালবাসিতে পারে না ; সতীশচন্দ্র শকুনিকে আর ভাল বালিতে পারিলেন না। উন্নতচরিত্র, ধৰ্ম্মপরায়ণ। দুহিতাকে কুটিলস্বভাব, কপটাচারী শকুনির হস্তে অর্পণ করিবেন, এ ভাবনা সতীশচন্দ্র সহ করিতে . ष्ट्र
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।