^ रजैश्रिब्रड । - 敬氮 অসংখ্য চর, মহাশ্বেতাকে ধরা তাহার পক্ষে কষ্টসাধ্য কাৰ্য্য নহে; সে কেবল সতীশচন্দ্রের সহিত শকুনিকে মুঙ্গেরে না যাইতে হয় এইজন্য। তবে যে এতদিন তাহাকে ধরা হয় নাই, তাহা শকুনির বিস্তীর্ণ মন্ত্রণাজালের এক অংশ। সে মন্ত্রণ জাল ভেদ করি, আমাদের কি সাধ্য ? পাঠক মহাশয় । চলুন, শকুনি যথায় বসিয়া চিত্ত করিতেছে, তথায় বাইয়া দেখা যাউক, যদি কিছু জানা যায়। চতুৰ্ব্বেষ্টিত দুর্গের প্রশস্ত কক্ষে শকুনি একাকী পদচারণ করিতেছে, চারিদিকে বিস্তীর্ণক্ষেত্র অবলোকন করিতেছে, দুর্গপদসঞ্চারিণী কল্লোলিনী যমুনার কল কল শব্দ শ্রবণ করিতেছে,—মধ্যে মধ্যে প্রশস্ত দুর্গের শুদ্ধান্তপুরদিকে অবলোকন করিতেছে। তাহার মুখমণ্ডলে আনন্দের লক্ষণ,—স্বার্থসাধন হইলে স্বার্থপর লোকের যেরূপ আনন্দ ও উল্লাস ছয়, সেইরূপ আনন্দের লক্ষণ । মনে মনে এইরূপ চিন্তা করিতেছে— 缪 “ এই সুবিস্তীর্ণ জমাদারি, এই প্রশস্ত দুর্গ, ঐ অন্তঃপুরবাসিনী সপ্তদশবর্ষীয় সুন্দরী শীঘ্রই নব স্বামী গ্রহণ করিবে, সমরসিংহের প্রজাগণ, সতীশচন্দ্রের প্রজাগণ শীঘ্রই শকুনির নাম উচ্চারণ করিলে ; কল্লোলিনী যমুনা শীঘ্রই শকুনির গৌরব-গীত গান করিবে। আর তুমি বিমলে ! তুমি আমাকে ঘৃণা কর জানি, কিন্তু ঘৃণার দিন শেয হইল ; তোমার ইচ্ছা থাকুক আর নাই থাকুক, আমাকে স্বামী বলিয়া আলিঙ্গন করিতেই হইবে ; তথাপি যদি ঘৃণা কর, এই পতঙ্গের মত তোমাকে পদে দলিত করিব ; এই দলিত - মৃত পতঙ্গের ন্যায় দূরে নিক্ষেপ করিব । প্রেমের জন্য বিবাহ করিতেছি না, প্রেম বালক-বালিকার স্বপ্নমাত্র ! তোমার রূপলাবণ্যের জন্য তোমাকে গ্রহণ করিতেছি না ;–আমার নিকট রূপলাবণ্যের অাদর নাই ; যদি থাকিত, লক্ষপতির রূপলাবণ্যের অভাব কি ? তবে তোমার দলিত না করিব কেন ? সতীশচন্দ্র, সাবধান ! আজি তোমাকে যম-মন্দিরে প্রেরণ করিলাম –যেরূপ চর নিযুক্ত করিরছি, গুপ্তকথা নিশ্চয়ই প্রকাশ পাইবে ;–অধিকন্তু শকুনির দোষও তোমার উপর নিক্ষিপ্ত হইবে। তাহার . পর ? তাহার পর নিঃসন্তান সতীশচন্দ্র গত হইলে তাহার জামাত ভিন্ন আর কে উত্তরাধিকারী ? তীক্ষ্ণবুদ্ধির চিরকালই জয় হউক।” এইরূপ চিত্ত করিতে করিতে শকুনি দেখিল, অন্তঃপুরে গুবাক্ষপার্শ্বে • বিমলা এখনও দণ্ডায়মান রহিয়াছেন। পিতা চলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু পিতার গমনপথ-দিকে অনিমেষলোচনে নিরীক্ষণ কল্লিতেছেন । ক্রমান করাতে সেই উন্নত:প্রশস্ত ললাটের শিরা স্ফীত হইয়াছে ; চক্ষুদ্বয় এখনও
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।