খঙ্গবিজেতা । 鲍靠 ༄་་༔ স কে বুঝিবে ? যে পতঙ্গ মুহূৰ্ত্তমধ্যে ভস্মসাং হইবে, তাহার পক্ষবিস্তার করিয়া আকাশদিকে ধাবমানূ হওয়া কেন ? যে শিশিরবিন্দু মুহূৰ্ত্তমধ্যে মনুষ্যপদে দলিত হইবে বা প্রাতঃকালের রবিকিরণম্পর্শে শুকাইয়া যাইবে, তাহার হীরকখণ্ডের জ্যোতিঃ বিস্তার কেন ? এই প্রকার চিস্তা করিতে করিতে বিমলা সহসা রজনী দ্বিপ্রহরের ঘণ্টারব শুনিতে পাইলেন, সেই ঘণ্টারব চতুৰ্দ্দিকস্থ সৌধমালয় প্রতিহত হইয়। দশগুণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়া বায়ুমার্গে সঞ্চরণ করিতে লাগিল,—নিস্তব্ধ নৈশ গগণে আরোহণ করিয়া সঞ্চরণ করিতে লাগিল । ঘণ্টারব শ্যে ন। হইতে হইতে দ্বিপ্রহরের পুজা আরম্ভ হইল । সপ্তস্বরে মিলিত হইয়া মহেশ্বরের অনন্ত মহিমা গীত হইতে লাগিল ;–কাদম্বিনীর গম্ভীর নিৰ্ঘোষবং সেই গীত কখন মন্দভূত, কখন সতেজে উচ্চারিত হইতে লাগিল; উপাসকদিগের মন দ্রবীভূত হইতে লাগিল । বিমলা মন্দিরের দিকে দৃষ্টি করিলেন, মন্দিরের উচ্চ চূড়া যেন আকাশ ভেদ করিয়া উঠিয়াছে—বিমলার হৃদয়ও আকাশের দিকে ধাবমাস্ হইল । যে গান গীত হইতেছিল, বিমল সপ্তস্বরে সেই গীতের সহিত যোগ দিলেন । র্তাহার হৃদয় পবিত্র প্রেমে ও উল্লাসে প্লাধিত হইতে লাগিল । সেই পবিত্র প্রেম ও উল্লাসই যথার্থ উপাসনা । উচ্চৈঃস্বরে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করিলে উপাসনা হয় ন,—প্রকৃতির শোভা দেখিয়া, বা বিশুদ্ধ পবিত্র চিত্তায় মগ্ন হইয়া যদি হৃদয় পবিত্র প্রেম ও উল্লাসে প্লাবিত হয়, তাহাকেই হৃদয়ের উপাসনা বলে,— যদি তাহাতে হৃদয় শাস্ত হয়, তাহাকেই হৃদয়ের শাত্তি কহে। বিমলা দ্রুতবেগে মন্দিরে প্রবেশ করিলেন । প্রবেশ করিবামাত্র দেখিলেন, একদিকে গায়ক ও বাদ্যকর বসিয়া রহিয়াছে,—তাহারাই গীত আরম্ভ করিয়াছিল। যথার্থ উপাসকের হৃদয় লে গীতের যে অর্থ ও মহিম! গ্রহণ করে, যাহারা গাইতেছিল, তাহাদের মধ্যে কয়জন সে অর্থ বুঝিতে পারে ? অন্ত একদিকে দেবদাসীগণ নৃত্য করিতেছে,–পূর্ণযৌবনসম্পন্ন রূপলাবণ্যবিভূষিত দেবদাসীগণ তালে তালে মৃত্য করিতেছে। সেই পবিত্র দেবমন্দিরের দেবদাসীদিগের কয়জনের হৃদয় পবিত্র । বিমল। এ সকল । পশ্চাতে রাখিয়া পুজাস্থানে গমন করিলেন । মহাদেবের প্রতিমার নিকটেই পূজাস্থান। তথায়ই উপাসকগণ সমমেত । হন । যখন বিমলা আসিলেন, তখন আর অধিক উপাসক ছিলেন না, .প্রার সকলেই চলিয়া গিয়াছিলেন । যাহারা ছিলেন, পুজকগণ র্তাহদিগের কাহাকে কাহাকেও পুজা করাইয়া দিতেছেন। দেবালয়ের মহন্ত
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।