శ్రీషి বঙ্গবিজেতা । ব্ৰত ভঙ্গ করিবার উদ্যোগ করিতেছেন ।” তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন, কোন উত্তর দিলেন না । বিমলা আবার বলিতে লাগিলেন--- 动 “ এবিষয়ে আপনি চিন্তা করিতেছেন কেন ? বিপন্নের বিপদৃ শক্তি করাই বীরপুরুষের কার্য্য, আর মদি কথন তাহাকে অসৎ লোক বলিয়া শুনিয়া থাকেন, সে জঘন্য মিখ্যা কথা,—শকুনির প্রতারণা ।” ইন্দ্র । “আমি আপনার কথা বুঝিতে পারিতেছি না, স্পষ্ট করিয়া বলুন,—শকুনি কে ?” বিম। “ শকুনি সতীশচন্দ্রের শনি। সেই পামরই সকল দোষে দোষী,--সতীশচন্দ্রের উদার চরিত্রে কোন দোষ স্পর্শে না । বীরপুরুষ ! এই দেবালয়ে অঙ্গীকার করুন, আপনি সতীশচন্দ্রের সহায় হইবেন ।” ইন্দ্রনাথ এই সকল কথা শুনিয়া হতজ্ঞান হইলেন,—কিঞ্চিৎ পরে বলিলেন, “ যদি যথার্থই সতীশচন্দ্র নির্দোষী হয়েন, তবে আমি আপনার অনুরোধে নিজ শোণিত দিয়। র্তাহাকে বাচাইবার চেষ্টা করিব ; কিন্তু আপনার নাম কি বলুন। আপনি কে, কিরূপেই বা আমার উপাসনা, আমার প্রতিজ্ঞার কারণ জানিতে পারিলেন ?” বিমলা ঈষৎ হাস্ত করিয়া বলিলেন, “ইন্দ্রনাথ ! যদি অনুমতি করেন, আপনার প্রশ্নের উত্তর করিবার পুৰ্ব্বে দাসী একট প্রশ্ন করিবে । আপনার ংশের পরিচয় দেন নাই, কিন্তু কোন বংশে পাণিগ্রহণ করিয়াছেন, তাহ বলিবার কি নিষেধ আছে ?” ইন্দ্র । " এখনও আমি কাহারও দাস হই নাই,—অামি অবিবাহিত ।” বিমলার শরীর সহসা পুলকে কণ্টকিত হইয়া উঠিল। কেন হইল,—কে বলিবে কেন হইল,—আশা মায়াবিনী ! বিমল ধীরে ধীরে উত্তর করিলেন— “আমাকে ভিখারিণী বলিয়া জানিবেন," বলিয়া বিমল আবার একটু হাসিলেন । বিমলার সুমধুর হস্ত দেখিয়া ইন্দ্রনাথ অন্য কথা ভুলিয়া গেলেম, বলিলেন--- وي * “ভিখারিণি ! এবার বল দেখি তোমার আবার ভিক্ষ কিসের ? ন রত্নমন্বিষ্যতি, মৃগ্যতে হি তৎ।” বিমলার মুখ লজ্জায় আরও অপরূপ সৌন্দর্ঘ্য ধারণ করিল,-চক্ষুর পাতা দুখানি পড়িয়া গেল,—মুখ আরক্ত হইল। গদ্গদ্স্বরে বলিলেন— “একটী ভিক্ষ ত বলিয়াছি,—সতীশচন্দ্রের রক্ষা ;—বিধাতা যদি সময় দেন, তবে অন্য ভিক্ষাট অবকাশমতে বলিব ।”
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।