বঙ্গfৰঞ্জেত । vo বায় অভিলাষ করেন। তিনি স্বয়ং পাটনা নগর বেষ্টন ও অধিকার করিয়া মনাইম খাকে সেনাপতি রাখিয়া দিল্লী যাত্র করেন । মনাইম খ) নামমাত্র সেনাপতি ছিলেন ; ক্ষত্রিয়চূড়ামণি রাজা টোডরমল্লই বস্তুতঃ পাঠানদিগের হস্ত হইতে বঙ্গদেশ জয় করেন । তিনিই দায়ুদ খাকে বার বার পরাস্ত করিয়া অবশেষে কটকের মহাযুদ্ধে জয়লাভ করেন । তাহাতে দায়ুদ খ ভীত হইয়। ১৫৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে বঙ্গ ও বিহারদেশ মোগলদিগকে অর্পণ করিলেন ও কেবল উড়িষ্যা মাত্র অপেন অধীনে রাখিলেন । এই সন্ধির পরই টোডরমল্ল দিল্লী যাত্রা করেন, এবং দায়ুদ খ অবকাশ পাইয়া সন্ধির কথা বিস্তৃত হইয়া পুনরায় বঙ্গদেশ অধিকার করেন । ১৫৭৬ খ্ৰীষ্টাব্দে আকবর শাহ হোসেন কুলীখাকে সেনাপতিপদে নিযুক্ত করেন ; তিনি নামমাত্র সেনাপতি ; রাজা টোডরমল্পই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব । টোডরমল্প দ্বিতীয়বার বঙ্গদেশে অসিয়া রাজমহলের মহাযুদ্ধে দায়ুদ খাকে পরাস্ত করেন। সেই যুদ্ধে দায়ুদ খাঁ নিহত হয়েন ও পাঠান রাজ্য বিলুপ্ত হয় । দিল্লীশ্বর হোসেন কুলীখাকে বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত করেন, এবং টোডরমল্প পুনরায় দিল্লী প্রত্যাগমন করেন। হোসেন কুলী ও তৎপরে মজফফর খাঁ চারি বৎসরকাল বঙ্গদেশ শাসন করেন । ১৫৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে পুনরায় বিদ্রোহানল প্রজ্জ্বলিত হইল ও মজফফর খী নিধন প্রাপ্ত হইলেন। . আকবর শাহ অতিশয় বুদ্ধিমান সম্রাটু ছিলেন। তিনি দেখিলেন যে, যে হিন্দুসেনাপতি বঙ্গদেশ দুইবার জয় করিরাছেন, তিনি ভিন্ন আর কেহই সেই শক্রসস্কুল দেশ দিল্লীর অধীনে রাখিতে পারিতেছেন না । সুতরাং ১৫৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে টোডরমল্ল সেনাপতি ও শাসনকৰ্ত্তী পদে নিযুক্ত হইয়া বঙ্গদেশে প্রেরিত হইলেন । কিপ্রকারে এই নিঃশঙ্ক বীরপুরুষ তৃতীয়বার বঙ্গদেশ জয় ও দুই বৎসরকাল বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যাদেশ শাসন করেন, তাহ। এই আখ্যায়িকায় বিবৃত হইবে । এই আখ্যায়িকায় ১৫৮০ খ্ৰীষ্টাব্দের কথা লিখিত হইবে, সুতরাং সেই সময়ে হিন্দু ও মুসলমান, জমীদার ও প্রজ, পাঠান ও মোগলদিগের মধ্যে কিপ্রকার সম্বন্ধ ছিল, সংক্ষেপে বিবৃত হইল, তাহাতে পাঠক মহাশয় ষোধ হয় বিরক্ত হইবেন না । একদিন প্রাতঃকালে এক ব্রহ্মচারী নদীয়া জেলার অন্তঃপাতী ইচ্ছামতী নদীতীরস্থ রুদ্রপুর নামক এক ক্ষুদ্র গ্রামাতিমুখে গমন করিতেছিলেন । চারিদিকে কেবল বিস্তীর্ণ শস্তক্ষেত্র সকল দৃষ্টিপথে পতিত হইতেছিল ।
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।