उन्नदिय्जड i ቆጫ “ আমি আপনাকে কত খেলা দিয়াছি, কতবার ক্রোড়ে করিয়া চুম্বন করিয়াছি,—যখন আপনার বয়ঃক্রম ছয় বৎসর, তখন আপনাকে ত্যাগ করিয়া আইসি। আপনার কি আমাকে মনে পড়ে ?” ইন্দ্রনাথের বাল্যাবস্থায় বাড়ীতে যত ভূত্য ছিল, তাহীদের একে একে স্মরণ করিতে লাগিলেন, কিন্তু নাবিক কখন ভূত্য ছিল কি না, স্মরণ করিতে পারিলেন না ; অথচ নাবিকের মুখ দেখিয়াছি বলিয়া মনে পড়িতে লাগিল। বলিলেন, “আমি স্মরণ করিতে পারিতেছি না ।” নাবি। " এক্ষণে আমার পুৰ্ব্ব অন্নদাতার সংসারের বিষয় জিজ্ঞাসা করি। নগেন্দ্রনাথ ভাল আছেন ?” ইন্দ্র। “ আছেন।” নাবি । “তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র এক্ষণে কোথায় ?” ইন্দ্র । “ আমার জ্যেষ্ঠের অনেকদিন হইল কাল হইয়াছে।” নাবি । * তাহার নাম উপেন্দ্রনাথ ছিল না ?” --> ইন্দ্র । “হ ।” নাবি । “তাহার কাল হয় কিরূপে ?” ইন্দ্র ৷ ‘ ইচ্ছাপুরে বড় ব্যান্ত্রের ভয়, আমার জ্যেষ্ঠকে ব্যান্ত্ৰে লইয়৷ যায়। আমার জ্যেষ্ঠকে প্রায় স্মরণ নাই । অনেক বৎসর হইল তাহার কাল হইয়াছে।” নাবি। "মাতাঠাকুরাণী কেমন আছেন ?” ইন্দ্র। “র্তাহার জ্যেষ্ঠপুত্রের মৃত্যুবাৰ্ত্ত শুনিয়া তিনি মূৰ্চ্ছিত হইয়। পড়িলেন, সেই দুঃখে ৰ্তাহার রোগ হয়, সেই রোগে তাহার প্রাণবিয়োগ হয় ।” - নাবিক এই কথা শুনিয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিল,—দরবিগলিত অশ্রুধারার বস্ত্র সিক্ত হইল,—বলিতে লাগিল, “ হায় মাতঠাকুরাণী !—আপনি আমাকে যেরূপ স্নেহ করিতেন, মাতা পুত্রকে কখন সেরূপ স্নেহ করে নাই। হা বিধাতঃ ! আমার কি মৃত্যু নাই ?” ইন্দ্রনাথের হৃদয়ে সন্দেহ হইতে লাগিল। ভূত্য কি কখনও প্রভুর জন্য এত ক্ষুণ্ণ হয় ? একবার ভাবিলেন অনেক দিনের ভৃত্য, হইলেও হইতে পায়ে, আরবার ভাবিলেন, নাবিকের ক্ৰন্দন সমস্তই প্রতারণা, নাবিক , নগেন্দ্রনাথকে কথন জানিত না, অধিক অর্থ পাইবার জন্য কপট কৌশলে সকল কথা বাহিয় করিয়া লইয়া কপট দুঃখ দেখাইতেছে। কখন বা | ভাবিলেন, অধিক অর্থ পাওয়া অপেক্ষাও কোন গভীরতর পাপ-অভিসন্ধি
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।