পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ae বঙ্গবিজেত । দেশের মধ্যে একজন বড় লোক হইতে চেষ্টা করিবেন,—পিতার নাম রাখিবেন, কুলের নাম রাখিবেন, তা নয়, কেবল ছদ্মবেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন, আর যত চাষী মজুরের সহিত আলাপ করিলেছেন । ছোড়া অধঃপাতে গিয়াছে । আর যে তাহার চরিত্রের বিষয় লিখিতেছে, সেও অধঃপাতে গিয়াছে ৷ ” - এইরূপে তিরস্কার করিলে আমরা যে কি উত্তর দিব, ভাবিয়া স্থিয় করিতে পারি না, ভয়ে একেবারে নিরুত্তর । অগত্য স্বীকার করিব, আমাদের সুরেন্দ্রনাথের বিষয়বুদ্ধি কিছু অল্প বটে,–বোধ হয় যথার্থই তিনি মৰ্য্যাদা রাথিতে জানেন না,—নাম কিনিবার বে সহস্ৰ কৌশল আছে তাহা তিনি জানেন না। বড় লোকের মধ্যে গণ্য হইবার জন্য চেষ্টা করিয়া বড় লোকের সহিত আলাপ করা, বড় লোকের সভায় উপস্থিত থাকা, আলাপ না থাকিলেও অন্ত লোকের নিকট বড় লোকেয় পরম বন্ধু বলিয়া পরিচয় দেওয়া, অন্তরে বিদ্যা বুদ্ধি থাকুক বা না থাকুক, মুথে গাম্ভীৰ্য্য টুকু ধারণ করা, সমমর্য্যাদার লোকের সহিত কথা না কহ, কিম্বা গৰ্ব্বিতভাবে কথা কহ, অধিক মৰ্য্যাদার লোকের সহিত লোকেয় সম্মুথে সমানের মত কথা কহ, অন্তরালে খোসামোদ করা, ক্ষমতা না থাকিলেও লোকের নিকট ক্ষমতা আছে বলিয়া পরিচয় দেওয়া, মান না থাকিলেও লোকের নিকট মানীর দ্যায় অঙ্গভঙ্গী করা, বিষয় ও ধন না থাকিলেও বিষয়ী ও ধনী বলিয়া পরিচয় দেওয়া, সতর্কভাবে যথার্থ যে সম্পত্তি আছে তাহা গুপ্ত করিয়া তাহার দশগুণ সম্পত্তি আছে, আচার ব্যবহার ইঙ্গিতের দ্বার প্রকাশ করা, ৪০ টাকা আয় থাকিলে ১১০ টাক। আয় আছে বলিয়া প্রচার করা, ২৫ টাকার দ্রব্যকে নগদ ৪০ টাকায় ক্রীত দ্রব্য বলিয়া জানান,—এইরূপ সহস্র মহা কৌশল সুরেন্দ্রনাথ জানিতেন না । সে নিৰ্ব্বোধ বালক ! ভাবিত, সৎকৰ্ম্ম করিলেই মানবজাতির যথার্থ মর্য্যাদা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় । অতি নিৰ্ব্বোধ ! যে সৎকৰ্ম্ম করিত তাহ লোককে জানান চাই--তাহার দশগুণ অধিক করিয়৷ লোকের নিকট প্রকাশ করা চাই, তাহ হইলেও কিছু হইত। তা নহে, গোপনে সৎকৰ্ম্ম করিলে কি হইবে ? ছোড়া যথার্থ অধঃপাতে গিয়াছেই বটে ! আর আমাদের উপর যে ক্রোধ করিতেছেন, সে অসঙ্গত ক্রোধ। সুরেন্দ্রনাথ যদি নিৰ্ব্বোধ হয়েন, আমাদের কি দোষ ? সুরেন্দ্রনাথের আচারব্যবহার দেখিয়া আমরা লজ্জিত, কুষ্ঠিত ও অপ্রস্তুত হইয়াছিকিন্তু তজ্জন্য যাহা ঘটিয়াছে তাহার অন্যরূপ লিখিব কিরূপে । যাহা যাহা