ዜo8 बन्नबिज्र f আলোক ও অন্ধকারের দ্বন্দ্বে নানারূপ অপরূপ ছায়া দেখা যাইতেছে, নিকটস্থ বৃক্ষরাশির মধ্য দিয়া বায়ুবেগবশতঃ নানারূপ অদ্ভুত শব্দ শ্রবণগোচর হইতেছে। সেই ছায়া দেখিয়া, সেই পৈশাচিক শব্দ শ্রবণ করিয়া ইন্দ্রনাথের স্বভাবতঃ সাহসী হৃদয়ও এক এক বার স্তম্ভিত হইতেছিল । যত পদচারণ করিতে লাগিলেন, তাহার শরীর ততই কটকিত হহঁতে লাগিল । কখন কখন দুরে যেন ভয়ানক আকৃতি দেখিতে লাগিলেন, আসি নিষ্কাশিত করিয়৷ সেই দিকে গমন করিয়া কখনও বা দেখেন ধূমরাশি উত্থিত হইতেছে, কখনও বা বোধ হয় যেন সেই আকৃতি ধীরে ধীরে বাইয়া বৃক্ষের অন্ধকারে লীন হইতেছে । গগনমণ্ডল ক্রমশঃই গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন হইয়া আসিল, বায়ু ক্রমশঃই শ্মশান ও বৃক্ষের উপর দিয়া ভীষণতর শব্দ করিয়া বহিতে লাগিল ; গঙ্গার তরঙ্গ ক্রমশঃই ভয়ঙ্কর হইতে লাগিল । আকাশে নক্ষত্র মাত্র দৃষ্টিগোচর হইতেছে না ; দূরে শিবাগণ মুহুমুহুঃ বিকট শব্দ করিতেছে ; যেন দূর হইতে প্রেত ও পিশাচের অট্টহাসি শ্রুত হইতেছে। যেদিকে নিবিড় জঙ্গল ছিল, সেই দিকে যেন বোধ হইল, দুইটা ভীষণ অকৃতি অন্ধকারে দেখা যাইতেছে। ইন্দ্রনাথ তাহ প্রথমে গ্রাহ করিলেন না; কিন্তু যতবার সেই দিকে নয়নপাত করেন, ততবারই সেই ভীষণ আকৃতি দেখিতে পাইলেন.। অার সহ করিতে না পারিয়া ইন্দ্রনাথ আসি নিষ্কাশিত করিয়া সেই দিকে আগমন করিলেন ; বোধ হইল, যেন সেই আকৃতিদ্বয় সহসী অদৃশ্ব হইয়। যাইল। ইন্দ্রনাথ সে দিক্ হইতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন, বোধ হইল, যেন জঙ্গলের ভিতর হইতে অট্টহাসি শুনিতে পাইলেন। তৎক্ষণাৎ আবার ফিরিয়া দেখিলেন, সেই দুই ভীষণ আকৃতি দণ্ডায়মান झष्ट्रिप्लएझ् । ar “ ভগবান্ সহায় হউম !" এই কথা বলিয়া ইন্দ্রনাথ অসিহস্তে ধীরে ধীরে সেই দিকে পুনরায় গমন করিলেন । অতিশয় সতর্কতার সহিত আকৃতিদ্বয়ের প্রতি নিরীক্ষণ করিতে করিতে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। জঙ্গলের নিকটে আদিতে না আসিতে আবার সেই আকৃতিদ্বয় অদৃষ্ঠ হইল। আবার দূর হইতে সেই পৈশাচিক অট্টহাসশব্দ গ্রুত । হইল । “ ভগবান সহায় হউন!” বলিয়া সেই জঙ্গলমধ্যে প্রবেশ করিলেন । সেস্থানে এরূপ নিবিড় অন্ধকার বে, চারি হস্ত দূরে কোন দ্রব্যই লক্ষিত হয় না। ইন্দ্রনাথের সমস্ত শরীর কণ্টকিত হইয়াছে ; ললাট হইতে ঘৰ্ম্ম ৰহির্মত হইতেছে। সৰ্ব্ব অঙ্গ, হস্তের অসি পৰ্য্যন্ত কম্পিত হইতেছে।
পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।