পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo i Ե-Գ হিন্দুর অন্তর বিশেষ জানেন না ?’ উভয়েই কোষ হইতে খড়গ বহির্গত করিবার উদ্যম করিলেন। ইন্দ্রনাথও শস্ত্রবিষয়ে অপটু ছিলেন না, কোষ হইতে অসি বহির্গত করিলেন । এমত সময়ে হুমায়ুন সহসা একটু হাসিয়া বলিলেন,— “ বুঝিয়াছি, আপনি বোধ হয়, এখনও আমাদিগকে বিশ্বাস করেন নাই, এইজন্য আমাদিগের নিকট বিদ্রোহ-মন্ত্রণ ব্যক্ত করিতে চাহেন না । তাহা সম্ভব বটে, এতদূর মন্ত্রণ গোপন রাখিবার ক্ষমত না থাকিলে রাজ টোডরমল্লকে পরাস্ত করিতে পারিতেন না । কিন্তু আমাদিগের নিকট অবিশ্বাসের কিছুই কারণ নাই ; আমাদিগের নিকট মন্ত্রণ গুপ্ত করিবার আবগুক নাই ; আপনি একৰ্ম্মে নিযুক্ত হইবার পূর্বাবধি আমরা বিদ্রোহোমুখ । এই দেখুন, পাঠানদিগের নিকট হইতে আমরা কয়েকখানি পত্র পাইয়াছি।” ইন্দ্রনাথ ক্রোধে ও বিস্ময়ে তান্ধ হইলেন, বলিলেন, “ পামর মুসলমান ! কাপুরুষ বিদ্রোহি ! তোর পাপের সমুচিত দণ্ড দিব। আমার ইচ্ছা হইতেছে, খড়গাঘাতে তোর শিরশ্চেদন করি,–কিন্তু শত্রুর সহিত অন্তায় যুদ্ধ করিব না, তোর অসি বাহির কর ।” দুইজনে তুমুল সংগ্রাম হইল । অসির ঝনঝনাশদ সেই নৈশ অন্ধকার বনমধ্যে প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল ; গঙ্গাতরঙ্গে প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল। ইন্দ্রনাথ হুমায়ুন অপেক্ষ অনেক বলিষ্ঠ ছিলেন ও অল্প দিনমধ্যে চমৎকার অস্ত্রচালন শিক্ষা করিয়াছিলেন । মুহূৰ্ত্ত মধ্যে হুমায়ুনের শরীর ক্ষতবিক্ষত হইল ; রক্তে শরীর ভাসিয়া গেল। মুহূৰ্ত্তমধ্যে হুমায়ূন ভূতলশায়ী হইলেন । তখন ইন্দ্রনাথ সিংহের মত গর্জন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ পামর । এক্ষণে রাজা টোডরমল্লের নিকট যাইয়া কি ক্ষমা প্রার্থনা করিবি ? না এই মুহূর্তে তোর শিরচ্ছেদন করিব ?” এ প্রশ্নের উত্তর প্রাপ্ত ন হইতেই তখান হঠাৎ পশ্চাদেশে আসিয়া ইন্দ্রনাথকে আক্রমণ করিল। i^ যখন প্রথমে ইন্দ্রনাথ ও হুমায়ুনের সহিত যুদ্ধ হয়, তখন তখান কিছু দূরে দণ্ডায়মান ছিলেন। প্রথমেই যুদ্ধ এরূপ ভয়ঙ্কর বেগে আরম্ভ হইয়াছিল যে, তখান ইতিকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া দণ্ডায়মান ছিলেন, কিন্তু সে কেবল { মুহূর্তের জন্য। যখন দেখিলেন, হুমায়ুন ভুতলশায়ী হইয়াছেন, তখন একেবারে লম্ফ দিয়া ইন্দ্রনাথকে আক্রমণ করিলেন। ইন্দ্রনাথ ফিরিয়া তাহার সহিত যুদ্ধ আরম্ভ করিতে করিতে হুমায়ুন উঠিয়া পুনরায় অসিহস্ত