পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গৱিশ্যে l بیابع হইলেন । তিনি নিতান্ত কাতর হইয়াছিলেন, কিন্তু একেবায়ে অক্ষম হয়েন নাই। সুতরাং দুই জনে একেবারে ইন্দ্রনাথকে আক্রমণ করিলেন । ” এবার ইন্দ্রনাথের বিষম সঙ্কট উপস্থিত । দুই জনের সহিত এক জনের অসিযুদ্ধ করা সম্ভবে না । বিশেষতঃ তখান ও হুমায়ুন অসিচালনে নিতাস্ত অপটু ছিলেন না। কেবল হুমায়ুনের কাতরতা ও রজনীয় অন্ধকার বশতঃই কিছুক্ষণের জন্য র্তাহার প্রাণরক্ষার সম্ভাবন । ইন্দ্রনাথ এ সকল চিন্তায় ভীত হইলেন না । এ সকল চিন্তা করিবার তাহার অবসর ছিল না । তাহার অদ্ভূত অস্ত্রশিক্ষাবশতঃ অনেকক্ষণ একাকী দুই জনের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন ; আশ্চৰ্য্য কৌশলক্রমে একবার ইহাকে একবার উহাকে প্রহার করেন ; তাহারাও প্ৰহত হইলেই কিঞ্চিৎ পশ্চাৎ যাইয়া পুনরায় সম্মুখীন হয়েন । হুমায়ুন যেরূপ কাতরতার সহিত অস্ত্রচালন করিতেছিলেন, তাহাতে তিনি যে আর অধিকক্ষণ যুদ্ধ করিতে পরিবেন, এমন বোধ হইল না । তিনি যুদ্ধে ক্ষান্ত হইলেই ইন্দ্রনাথের জয় । কিন্তু সে দূরের কথা। যতক্ষণ হুমায়ুন না ক্ষান্ত হয়েন, ততক্ষণ পর্যন্ত আত্মরক্ষা করা ইন্দ্রনাথের পক্ষে দুরূহ হইয়া উঠিল। সহস্ৰ কৌশল থাকাতেও তিনি একাকী দুই জনের সহিত সমযুদ্ধ করিতে পারিলেন না,— কেহই পারে না। অস্ত্রাঘাতে র্তাহার শরীর ক্ষত বিক্ষত হইতে লাগিল ; রুধিরে অঙ্গ ও বস্ত্র প্লাবিত হইতে লাগিল। শরীর রক্ষার্থ ক্রমশঃ ধীরে ধীয়ে এক এক পা করিয়া পশ্চাতে আসিতে লাগিলেন । রুধিরাক্ত কলেবরে সিংহবীৰ্য্য প্রকাশ করিতে করিতে এক এক পা করিয়া পশ্চাতে আসিতে লাগিলেন। তাহার চক্ষু হইচে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ বহির্গত হইতেছে ; সমস্ত শরীর কম্পিত হইতেছে ; ক্রোধে অধর দংশন করাতে অধর হইতে শোণিত নির্গত হইতেছে ; সৰ্ব্ব অঙ্গ ও বস্ত্র রক্তে প্লাবিত, নয়নে নিমেষমাত্র নাই ; অস্ত্রচালনে মুহূৰ্ত্তমাত্র অৰকাশ নাই ; সমস্ত অবয়ব দেখিলে বোধ হয়, , যেন ক্ৰোধ মূৰ্ত্তিমান হইয়া রক্তাক্ত কলেবরে যুদ্ধ করিতেছে । * বিপদ একাকী আইসে না । এই বিপত্তির উপর ইন্দ্রনাথের অন্য বিপদ আসিয়া উপস্থিত হইল। হুমায়ুন ক্রমে অবসন্ন শরীর হওয়াতে, শেষে তর্জন করিয়া একবার শেষ আক্রমণ করিলেন । তখনও সেই অবসরে সতেজে আক্রমণ করিলেন । এক জন দক্ষিণ দিক্ হইতে ও অন্য জন বাম দিক্ হইতে আক্রমণ করিলেন। দুই জনের সমকালীন সতেজ আক্রম হইতে আপনাকে রক্ষা করিবার জন্ত ইন্দ্রনাথ হঠাৎ পশ্চাৎ যাইবার মানল