পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ste বঙ্গভাষা ও সাহিত্য অনুশাসন হইতে পাওয়া গিয়াছে কিন্তু বাঙ্গলায় ইহার পূর্ণ পরিণতি লাভ হয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যাল হইতে প্ৰকাশিত বঙ্গলিপির উৎপত্তি সম্বন্ধীয় পুস্তকে শ্ৰীযুক্ত রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশস্য এত্ব ২ সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন। কয়েক শতাব্দীর মধ্যে পূৰ্বাক্ষরও দুইটি বিভিন্ন ਲ বিভক্ত হইয়া যায়,-প্রতীচ্য ও প্রাচ্য। প্ৰতীচ্য অক্ষর ক্রমশঃ নাগরীর সহিত মিশিয়া বিবিধ প্রাদেশিক লিপির সৃষ্টি করিল, প্রাচ্য অক্ষর নাগরীয় প্রভাব হইতে অনেকটা মুক্ত থাকিয়া নিজ স্বাতন্ত্র্য অব্যাহত রাখিতে পারিয়াছিল। ইহার ঐতিহাসিক ধারা বঙ্গলিপির ক্রমবিকাশের স্তরে স্তরে পরিস্ফুট রহিয়াছে। সুপ্ৰসিদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক বুহ্য লর সাহেবের মতে খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর শেষভাগে পূৰ্ব্ব-ভারতীয় নাগরী লিপি হইতে ক্ৰমশঃ বঙ্গাক্ষরের স্বষ্টি হয়, কিন্তু রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই মত খণ্ডন করিতে সমর্থ হইয়ানে কি/লয়া মনে হয়। বঙ্গাক্ষরের প্রাচীনতম রূপ খুজিতে গিয়া প্রথমেই এলাহবাদ স্তস্তে উৎকীর্ণ হ'লষেণ রচিত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের প্রশস্তির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। গুপ্তযুগের প্রথমভাগে প্ৰাচ্য অক্ষরের কিরূপ অবস্থা ছিল ত"হার পরিচয় এই লিপিতে পাওয়া যায়। পণ্ডিতদিগের মতে গুপ্তকালের ইহাই প্রাচীনতম অনুশীলন। পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে যে এই প্ৰাচ্য অক্ষর হইতেই আমাদের বঙ্গ-লিপির ་་་་་་་་་་་་་ ত্ৰিশ বৎসর পুর্বে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পর্বতগাত্রে মহারাজ চন্দ্ৰবৰ্ম্মা কখানি শিলালিপির আবিষ্কার করিয়াছেন। এলাহবাদ প্রশস্তিতে সমুদ্রগুপ্ত বিজিত আৰ্য্যাবৰ্ত্তের রাজাদিগের মধ্যে চন্দ্ৰধৰ্ম্ম নামখেয় এক নৃপতির নাম পাওয়া যায়। এই চন্দ্ৰবৰ্ম্মা ও শুশুনিয়া শিলালিপির মহারাজ চন্দ্ৰবৰ্ম্ম যদি একই ব্যক্তি হইয়া থাকেন, তবে শেষোক্ত শিলালিপি নিশ্চয়ই খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর কোন সময়ে খোদিত হইয়াছিল। (১) সম্ভবতঃ ইহা হরিষেণ প্ৰশস্তি হইতেও প্রাচীন। বাঙ্গালায় এতদপেক্ষা প্ৰাচীন লিপি অদ্যাপি আবিষ্কৃত হয় নাই। রাজসাহী জেলার অন্তৰ্গত ধানাইদহ ও দিনাজপুর জেলাস্থ দামোদরপুর গ্রাম হইতে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পুত্ৰ মহারাজাধিরাজ প্রথম কুমারগুপ্তের কয়েকখানি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে। এই লিপিগুলি হুটুতে ঋষ্টিজগণের সময়ের বঙ্গদেশে ব্যবহৃত প্ৰাচ্য অক্ষরের নমুনা দৃষ্ট হয়। খৃষ্টীয় সপ্তম ူဇိီဂျီ ধের রাজা আদিত্যসেনের সাহপুর ও আফসড় অনুশাসন হইতে আরম্ভ করিয়া পালরাজগণের লেখমালায় এই প্ৰাচ্যলিপির ক্রমোন্নতির ইতিহাস খোদিত আছে। কাশীখণ্ড পুথির বুিঢ়য় পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে, উহা ১০৩৮ খৃষ্টাব্দে লেখা। তৎপরবৰ্ত্তি যুগে বঙ্গীয় লিপিক্সল/ইতিহাস আলোচনা করিতে হইলে, সেনরাজগণের তাম্রশাসন, কেন্থি অঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিপ্ত কয়েকটি প্রাচীন পুথি, অশোকচল্পের গয়া-অনুশাসন, ১৪৩৫ খৃষ্টাব্দে العصصص -ჯ -T • ــــــظر (১) সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা, ১৩০৩ সাল, ৬৯ পৃষ্ঠা।