পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(S3 दआउछाषा ७ माश्ठिा নরেন্দ্র রায় ইহার পর অতি দরিদ্র হইয়া পড়িলেন। ভারতচন্দ্ৰ ভঁাহার মাতুলালয় 'নাওয়াপাড়া’ গ্রামে যাইয়া তাজপুরস্থ টোলে কিছুকাল সংস্কৃত পড়িলেন, এবং অবশেষে মণ্ডলঘাট পরগণার সারদাগ্রামে কেশরকুনি আচাৰ্য্যদের বাড়ীর একটি কন্যার পাণিগ্রহণ করেন ; তঁাহার পিতা মাতা ও ভ্রাতৃগণ এই বিবাহে তাহার উপর বিশেষ বিরক্ত হইয়াছিলেন, বিবাহের সময় তাহার ১৪ বৎসর মাত্র বয়স ছিল। গুরুগণ কর্তৃক তিরস্কৃত অভিমানী কবি গৃহত্যাগ করিয়া হুগলীর অন্তর্গত দেবানন্দপুরনিবাসী রামচন্দ্ৰ মুন্সী নামক জনৈক ধনাঢ্য-কায়ন্থের শরণাপন্ন হন, তাহার আনুকুল্যে তিনি ফাবৃশি শিক্ষা করেন। এই মুন্সী মহাশয়ের বাড়ীতে সত্যনারায়ণের পুজোপলক্ষে পঞ্চদশ বর্ষীয় কবি স্বকৃত সত্যপীরের কথা” পাঠ করিয়া উপস্থিত শ্রোতৃবর্গকে মুগ্ধ করেন ; এই সময় তিনি দুইখানি সত্যপীরের উপাখ্যান রচনা করিয়াছিলেন, তাহার একখানি চৌপদী ছন্দে রচিত হইয়াছিল; এই পুথির শেষে সময় নির্দেশ করা আছে,-“ব্ৰতকথা সাঙ্গ পায় সনে রূদ্ৰ চৌণ্ডণা ।” অর্থাৎ ১১৪৪ সালে SDBtSSS DB BDB DDBDDY DDBD DDDD DS DBBBBDSS DgBB DBB BBBS মাতা ও ভ্রাতৃগণ র্তাহার পাণ্ডিত্য দেখিয়া বিশেষ সন্তুষ্ট হইলেন। ইতিমধ্যে নরেন্দ্র রায় পুনশ্চ বৰ্দ্ধমানাধিপতির নিকট হইতে কিছু জায়গা ইজারা লইয়াছিলেন। ভারতচন্দ্র রাজস্ব দি যথাসময়ে রাজসরকারে প্রদান করিতে উপদিষ্ট হইয়া বৰ্দ্ধমানে প্রেরিত হইলেন। কিন্তু তথায় আকস্মিক কোন গোলযোগে পড়িয়া কারারুদ্ধ হন। কারা হইতে কৌশলে উদ্ধার পাইয়া ভারতচন্দ্ৰ শ্ৰীক্ষেত্রে গমন করেন, তথায় শিবভট্ট নামক সুবাদারের অনুগ্রহে পাণ্ডাগণের করা হইতে নিস্কৃতি পাইয়া বিনা মূল্যে প্রতিদিন এক একটি ‘বলরামী আটকে” প্রাপ্ত হন। এই সময়ে তাহার বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে অনুরাগ জন্মিয়াছিল বলিয়া কথিত আছে, কিন্তু তঁাহার লেখায় সেই অনুরাগ মধ্যে মধ্যে একটি ঈষদ্ব্যক্ত বিদ্রুপে পরিণত হইতে দেখা যায়,-”চল যাই নীলাচলে। খাইয়া প্ৰসাদ ভাত, মাথায় মুছিব হাত, নাচিব গাইব কুতূহলে।” এই লেখায় শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথ-তীর্থের প্রতি কবির বেশ একটু সন্ত্রমপুর্ণ পরিহাস লক্ষিত হয়। যাহা হউক, কবি বৈষ্ণবধর্শের প্রতি এতদূর কৃপাপরবশ হইলেন যে, তিনি বৃন্দাবন যাইয়া বৈরাগী সাজা ঠিক করিলেন, পথে হুগলীস্থিত খানাকুল গ্রামে খালীমতির বাড়ী, এই মহাশয় নবীন সন্ন্যাসীকে ফিরাইয়া আনিলেন ; অতঃপর বৃন্দাবনে না। যাইয়া কবি শনৈঃ শনৈঃ পদব্ৰজে স্বীয় শ্বশুরবাড়ী সারদাগ্রামে উপস্থিত হইলেন। তিনি স্ত্রীর আদরে বিশেষ আপ্যায়িত হইয়াছিলেন কি না। বলিতে পারি না,-নিজের অভ্যস্ত ব্যঙ্গসহকারে একস্থলে লিখিয়াছেন—“দুই স্ত্রী নহিলে নহে স্বামীর আদর। সে রসে বঞ্চিত রায় গুণাকর ৷” কিছুকাল শ্বশুরবাড়ীতে থাকিয়া ও তঁহার স্ত্রীকে সেস্থান হইতে নিজ বাটীতে পাঠাইতে নিষেধ করিয়া, কবি ফরাসডাঙ্গায় উপস্থিত হন ; তথায় বিখ্যাত দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী মহাশয়ের