পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ বঙ্গ মহিলা । [ ২য় খ, ৪র্থ সং। আহত হইয়াছিল। সেই সাহেবের শিকারী কুকুর প্রথমে দুটাকেই একবারে সাহেবের নিকট আনিতে চেষ্টা করিতে লাগিল ; কিন্তু তাহ ন পারিয়া, পাছে পলাইয়া যায় এই নিমিত্ত একীি ঘাড় ভাঙ্গিয় রাখিয়া' গেল, আর অন্য আহত পক্ষটকে প্রভুর কাছে আনয়ন করিল ; তাহার পর মৃত পক্ষীটী লইয়া আসিল । আমরা স্বচক্ষে পিপীলিকার আশ্চৰ্য্য বুদ্ধিকৌশল প্রত্যক্ষ করিয়াছি। অনেকগুলি ক্ষুদ্রজাতীয় পিপীলিকা একটী ক্ষুদ্র জীবন্ত স্বয়াপোকা ধরিয়া বাসস্থানদিকে লইয়। যাইতেছিল। দ্বারের ক্ষুদ্রতাহেতু, আবাসমধ্যে প্রবেশ করাইতে ন পারিয়া, তাহার। দ্বার ভগ্ন করিতে লাগিল । তখন স্বয়াপোকা যেন আনন্যোপায় ছইয়৷ দেহায়তনের বৃদ্ধিহেতু আপনার দেহ জড়াইয়ণ গোলাকার হইল। এরূপ করাতে পিপীলিকাগণ আশ্চর্ষ্য উপায় অবলম্বন করিল।ণ এক দল পিপীলিক স্বয়াপোকার এক মুখ ও অন্য এক দল অন্য মুখ ধরিয়া এমনি সজোরে টান দিতে লাগিল যে, সুয়াপোকাকে পুনৰ্ব্বার স্বাভাবিক অাকার ধারণ করিতে হইল এবং সেই অবস্থাতে অনায়াসে পিপীলিকাসমূহ তাহাকে অণ বাসমধ্যে সত্বর লইয়া গেল । e ফিয়ার সাহেবের বিদায়। কিছু দিন হইল আমরা মাননীয়া ফিয়াররমণীকে উপযুক্ত অভিনন্দন দ্বারা বিদায় দিয়াfছলাম / এক্ষণে মান্য বর বিচারপতি ফিয়ার সাহেবও এদেশ পরিত্যাগ করিয়৷ স্বদেশে প্রত্যাগমন করিলেন । ইহাতে যে বঙ্গবাসিগণ বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হইলেন তাহা বলা বাহুল্য। ফিয়ার সাহেব একজন আমাদের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন এবং এদেশের হিতার্থে তিনি নিরন্তর ব্যস্ত থাকিতেন । যাহাতে আমাদের সামাজিক ও মানসিক উন্নতি হয় তিনি প্রাণপণে তাহার চেষ্টা করিতেন । এদেশের স্ত্রীশিক্ষার প্রতি