পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sw - বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ৫ম সং । গুৰুগৃহে বাস করিবে। পরে আয়ুর দ্বিতীয় ভাগ বিবাহ করিয়া গৃহস্থাশ্রম করিবে ।” জ্ঞানোপার্জনের পূৰ্ব্বে বিবাহ করিতে কোন শাস্ত্রেই আদেশ নাই । © © বিবাহই গৃহস্থাশ্রমের মূল এবং পুত্রের জন্য বিবাহ অবশ্ব কর্তব্য, “ পুত্র উৎপাদন জন্য বিবাহ কর বিধেয় । পুত্রদ্বারা পরলোকে সদগতি হয় ৷ ” বিবাহের মুখ্য অভিপ্রায়ই পুত্রোৎপাদন। অপিচ প্রজা উৎপাদনের জন্যই স্ত্রীলোকের সৃষ্টি হইয়াছে। মন্ত্র জগৎ পূরিত করিবার জন্য নানা উপায়ে প্রজা সৃষ্টি করিতে লাগিলেন । কিন্তু কিছুতেই তাহার উদেশ্ব সিদ্ধ হইল না। অবশেষে বহুক্ষণ ভাবিয়া তিনি রমণীর রমণীয় রূপ স্বীয় বামভাগ হইতে নির্গত করিলেন। তদবধি স্ত্রী-পুরুষ সহযোগে প্রজাসৃষ্টি হইতে লাগিল । মানবজাতির এই আদিম পুৰুষকেই খ্ৰীষ্টীয়ানের আদিম কহিয়৷ থাকে। হরিবংশে আছে, আদিম মনুর নাম আপব ছিল ; তাহার স্ত্রীর নাম অপব এবং তাহণ হইতে মুসলমানের হব এবং খ্ৰীষ্টীয়ানের ইভ করিয়া থাকিৰে। বাইবেলে এই আদম ও ইভ সংযোগে মানবজাতির উৎপত্তি নির্দিষ্ট হইয়াছে । দ্বিজাতির পক্ষে দশ সংস্কার ‘ অতীব কৰ্ত্তব্য । বীজসেক, পুংসবন, সীমন্তোন্নয়ন, জাতকৰ্ম্ম, নামকরণ, নিষ্কামণ, অন্নপ্রাশন, চুড়াকরণ, উপনয়ন ও উদ্বাহ । এই সমস্ত সংস্কারের নাম দশ সংস্কার, ইহার মধ্যে উদ্বা হই সৰ্ব্বপ্রধান । উদ্বাহ সকল জাতির পক্ষেই বিহিত। শূদ্র ও শঙ্কর জাতিদিগের উপনয়ন সংস্কার নাই। তাহাদিগের নয় সংস্কার। কেবল দ্বিজাতিরই দশ সংস্কার অাছে । বিবাহ অষ্টবিধ। ব্রাহ্ম, দৈব, আৰ্য্য, প্রাজাপত্য, আস্থর, গান্ধৰ্ব্ব, রাক্ষস ও পৈশাচ । বরকে আহবান করিয়া যথাশক্তি কন্যাকে অলঙ্কত করিয়ণ দান করার নাম ব্রাহ্ম বিবাহ । বরের স্বভাব, বিদ্যা, কুলমৰ্য্যাদা ও কার্ষ্যের বিষয় আলোচনা করিয়া এই বিবাহ প্রদত্ত হইয়ণ থাকে। যজ্ঞস্থ ঋত্বিজকে কন্যাদানের নাম দৈব-বিবাহ। বরের নিকট হইতে