পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डॉज, s२४७ । ] বঙ্গ মহিলা । So& অতি উৎকৃষ্ট পুস্তক হইলেও ইংরাজী ভাষায় লিখিত বলিয়া সাধারণের বোধগম্য নহে। রাজেন্দ্র বাবু বাঙ্গালী ভাষায় এরূপ পুস্তক প্রথম প্রকাশিত, করিলেন। আমরা কাশ্মীর-কুসুম প্রণে— তাকে এই নিমিত্ত সহঅ ধন্যবাদ দিতেছি । e তিনি কাশ্মীরদেশকে যেরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, তাছাতে ইহাকে পৃথিবীর মধ্যে স্বৰ্গ বলিলে অতু্যক্তি হয় না। গ্রন্থকার কাশ্মীরের প্রাকৃত সৌন্দর্ঘ্য ও অদ্ভুত নৈসর্গিক ব্যাপার সকল যেরূপ নিপুণতার সহিত বর্ণন করিয়াছেন, তাহ পাঠে যে সকলেরই কৌতূহল জন্মিবে তা হাতে আর সন্দেহ নাই। তিনি এক স্থলে লিখিয়াছেন ;–- কাশ্মীর প্রদেশের চতুস্পার্শ্বৰেষ্টিত শৈলপ্রাকার, বক্রগতিবিশিষ্ট অনতিবেগবান নদী, স্থির হ্রদনিচয়, উহাদিগের তটস্থ নন্দনকানন সদৃশ ক্রীড়াউপবন, চিত্ত-বিমোহন তপোবন, চমৎকার প্রস্রবণ, *.जैशीर्भ নৈসর্গিক শোভা, নিৰ্ম্মল ও স্বাস্থ্যকর জলবায়ু, স্বরস ও প্রচুর খাদ্য সামগ্রী প্রভৃতি নানাবিধ সৌন্দৰ্য্য ও উপাদেয়তার একাধারে সমাবেশ এই সমস্ত যেমন বিস্ময়কর, তেমনি কি ভূতত্ত্ববিৎ, কি রাসায়নিক, কি প্রাচীন তত্ত্বাহুসন্ধায়ী, কি ইতিহাসবেত্তা, কি পৰ্যটক, কি কবি, কি রসজ্ঞ ভাবুক, কি স্বভাবচিত্রকর, কি রোগী, কি সুস্থ, কি মৃগয়ামুরাগী, কি ভোগবিলাসী, কি সংসারত্যাগী বিবেকী, সকল প্রকার অবস্থাপন্ন ব্যক্তিদিগের পক্ষেই কাশ্মীর যেমন উপদেয়, বোধ হয়, পৃথিবীর আর কোন স্থল তেমন নহে ।” বস্তুতঃ কাশ্মীরদেশে সকলই আশ্চৰ্য্য সকলই মনোহর । এদেশে চলুৎশক্তিবিশিষ্ট দ্বীপ একটা অদ্ভুত ব্যাপার। গ্রন্থকার উহ। এইরূপে বর্ণন করিয়াছেন—“ হাকেরসর নামক জলাশয়ে দ্বীপাকার বৃহৎ বৃহৎ ভূমিখণ্ড আছে । তৎসমুদায় এরূপ দৃঢ় ও বিস্তৃত যে, তদুপরি বৃহৎ বৃহৎ বৃক্ষাদি জমিয়া রহিয়াছে এবং গোবৎসাদি তথায় তৃণ ভক্ষণ পূর্বক বিচরণ করে। আশ্চর্য্যের বিষয়, যখন প্রবল বায়ু বহিতে থাকে, তখন এই সমুদয়