পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১২৮৩ ৷ ] স্বাস্থ্য-রক্ষা । YYY পাওয়া যায়। আস্বাদনের বশীভূত হইয়া অধিক মসলাযুক্ত গুৰুপাক ব্যঞ্জনাদি অধিক পরিমাণে না খাইয়া পরিমিতরূপে সুখাদ্য আহার করিতে পারিলে রোগগ্ৰস্ত হইয়া চিকিৎসকের আশ্রয় বড় লইতে হয় না । কিঞ্চিৎ ক্ষুধা রাখিয়া আইার করা অতিশয় যুক্তিসিদ্ধ। কিন্তু অনেকের এইরূপ বোধ আছে যে, উদরক্ষীত যে পৰ্য্যন্ত না হয় ততুক্ষণ আহার করা কৰ্ত্তব্য । এই কুবুদ্ধির বশীভূত হইয়। এদেশের অধিকাংশ স্ত্রীলোক ছেলেদের দুধ বা ভাত খাওয়াইবার সময় যে পর্যন্ত তাহণদের পেট উঠিতে না দেখেন, ততক্ষণ তাহাদিগকে খাওয়াইতে ক্ষান্ত পান না । তাহারণ ভাবেন অধিক আহার দিলে শিশুগণ শীঘ্ৰ মোটা হইবে । এই অতিভোজনদোষে যে কত শিশু উদরাময় ও অন্যান্য ক্লেশকর রোগে কষ্ট পাইয়ণ থাকে ও অল্প বয়সে মৃতু্যগ্রাসে পতিত হয় তাহার সংখ্যা করা যায় না। ইহা অনেক मभृक्। দেখিতে ‘প্লাওয়া যায় যে, অপরিমিতভোজী ব্যক্তিদিগের দেহ প্রায় ক্ষীণ ও দুর্বল হইয়া থাকে, তাহার কারণ এই যে, অতিভোজনদোষে উদরন্থ দ্রব্য সম্পূর্ণরূপে জীৰ্ণ হয় না, সুতরাং তাহার সারাংশ শরীরের কার্ধ্যে{ নিয়োগ না হওয়াতে দেহ ক্রমে ক্ষীণ ও দুর্বল করিয়া ফেলে। যে কয়েকটা রসের সহিত মিশ্রিত হইয়া ভুক্তত্রব্য পরিপাক হইয়। থাকে, তাহারণ প্রত্যহ নির্দিষ্ট পরিমাণে উৎপন্ন হয় এবং তাহাতে যে পরিমাণে ভুক্তফ্রব্য পাক হইতে পারে, তাহার অধিক হইলে উহা সম্পূর্ণরূপে পরিপাক না হইয়া পীড়াদায়ক হইয় পড়ে । অতএব পরিমিতরূপে আহার করাই সৰ্ব্বপ্রকারে বিধেয় । সাধারণতঃ, দিবারাত্রির মধ্যে এক সের খাদ্যদ্রব্য ও এক হইতে দুই সের পানীয় দ্রব্য একজন সবল যুবার পক্ষে যথেষ্ট আহার। বাঙ্গালিদিগের পক্ষে দেড় পোয় বা সাত ছটাক চালের ভাত, এক পোয়। ময়দার লুচি বা ৰুটী, দুই ছটাক দাল, তদুপযুক্ত মৎস্য ও তরকারি এবং আধ সের হইতে এক সের দুধ প্রত্যহ আহার করিলে যথেষ্ট বলকারক ও স্বাস্থ্যকর হইতে পারে । -