পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ বঙ্গমহিলা । [২য় খ, ৫ম সং । আস্বাদন ও পরিপাকোপযোগী করিবার নিমিত আমরা অনেক দ্রব্য রন্ধন করিয়া থাকি। কাচা অবস্থায় যে সকল দ্রব্য আমরা মুখে করিতে পারি না, তাহ রন্ধন করিলে ভক্লযোগ্য ও সুস্বাস্থ হয়।” চাল, ময়দা, তরকারি, মাংস, মৎস্য প্রভৃতি দ্রব্য সকল কঁাচণ অবস্থায় ভক্ষযোগ্য নহে এবং খাইলেও অনায়াসে পরিপাক হয় না কিন্তু উহ। রন্ধন করিলে অতি সুস্বাস্থ ও সহজে পরিপাক হয়। এস্থলে ইহাও বলা কৰ্ত্তব্য যে, রন্ধনদোষে লঘুপাক দ্রব্য সকল গুৰুপাক হইয়ণ উঠে । অধিক স্থত, তৈল বা মসলার সহিত কোন দ্রব্য বাহুল্যরূপে রন্ধন করিলে তাহ অধিক সুস্বাছ হইতে পারে কিন্তু সহজে পরিপাক হয় না। - খাদ্যের পরিমাণ ও তাহার উপযুক্তত স্থির করা যেমন প্রয়োজনীয়, আহারের সময় নির্দিষ্ট থাকাও তজপ আবশ্বক। প্রত্যহ এক সময়ে এবং যথাসময়ান্তরে আহার না করিলে স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ হানিজনক হণ্ডু থাকে। অধিকাংশ মনুষ্যজাতির মধ্যে প্রত্যহ তিনবার আহার করা প্রথা প্রচলিত দেখিতে পাওয়া যায়। পাচ বা ছয় ঘণ্টা অন্তর দিনের মধ্যে তিনবার অগহার করা নিতান্ত মন্দ নহে এবং আমাদের দেশেও এই প্রথা প্রচলিত আছে কিন্তু অনেকে অন্য প্রকার নিয়মে আহার করিয়াও সুস্থ শরীরে দীর্ঘজীবী হইয়া থাকেন । আমাদের দেশীয় বিধবা স্ত্রীলোকের ও ব্রাহ্মণের মধ্যে অনেকে দিনান্তে একবার অন্ন ভোজন করিয়৷ থাকেন। উত্তরপশ্চিম প্রদেশের অধিকাংশ লোকেও ঐরূপ করেন। অনেকে আবার প্রত্যহ দুই বারের অধিক আহার করেন ন। বিশেষ অনুসন্ধান দ্বারা শরীরতত্ত্ববিদ পণ্ডিতেরা স্থির করিয়াছেন যে, ভুক্তফ্রব্য পাকস্থলীতে পরিপাক হইয়া স্থানান্তরিত হইতে অন্ততঃ চারঘণ্টা লাগে এবং পরিপাকান্তে আর দুই ঘণ্টাক পাকযন্ত্রকে বিশ্রাম না দিয়া পুনরায় আছার গ্রহণ করা ఇజ్జీ নহে। এই নিমিত্ত একবার অtহার করিলে অন্ততঃ তাহার ছয় ঘণ্টা বিলম্বে পুনরায় অtহার করণ কর্তব্য । দুই বা তিন ঘণ্ট। অন্তর কিছু