পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈ, ১২৮৩ । ] দণ্ডকারণ্যের পৌরাণিক ইতিহাস । q •শশধর দশী সাগরের ন্যায় উদ্বেল হইয়ণ, আকাশ পাতাল দিক বিদিক যেন অগত্মসাৎ করিতেছিল । তিনি একমাত্র বসন পরিধান করিয়ণ একাঙ্কিনী সেই বিরল অরণ্যে বিচরণ করিতেছেন, দর্শন করিয়া, মহীপতি দণ্ড দুনিবার মোহাভিভব বশতঃ নিতান্ত হতবুদ্ধি হইয়া, তাহাকে মূৰ্ত্তিমতী বসুন্তলক্ষীর ন্যায় বোধ করিলেন, এবং সমৃনয় বচনে বলিতে লাগিলেন, স্বশ্রেণি ! তুমি কে ? কাহার পরিগ্রহ । তুমি জন্ম গ্রহণ বা অধিষ্ঠান দ্বারা কোন্‌ কুল অলঙ্কত করিয়াছ ? হে শোভনে ? তোমার এই অনিসর্গজ অমৃপম রূপরাশি দর্শন করিয়া, হুরাচার কুহুমশর আমারে নিতান্ত নিপীড়িত করিতেছে। সেই জন্যই আমি তোমণকে জিজ্ঞাসা করিতেছি, হে চপলায়তলেণচনে ! তুমি দর্শনমাত্রে আমার মনঃ প্রাণ সমুদায়ই হরণ করিয়া লইয়াছ । আমি এখন কি করি। হে স্থলেণচনে ! আমারে জীবন দান কর । হে বরারোহে ! ! আমি তোমার ভক্ত ও কিঙ্কর, অামারে ভজনা কর । © মহীপতি দণ্ড হুনির্বার মদনবির্ভাব বশতঃ উন্মত্তের ন্যায়, বিষমূৰ্ছিতের ন্যায়, মুরাপায়ির ন্যায়, এই প্রকার প্রলণপপরম্পর প্রয়োগ করিতে প্রবৃত্ত হইলে, বিরজা অনুনয়সহকারে তাহারে সবিশেষ সান্তন করিয়া বলিতে লাগিলেন, রাজনৃ! আমি অক্লিষ্টকৰ্ম্ম মহাভাগ শুক্রের দুহিতা, নাম বিরজ। আমি এই পিতার তপোবনেই বাস করিয়া থাকি। তুমি যে পথে প্রবৃত্ত হইয়াছ, ইহ। তোমাদের কুলোচিত নহে । অতএব তুমি ইহু হইতে বিনিবৃত্ত হও । হে মতিমন্‌ ! মহামনঃ শুক্র আমার পিতা, তুমি তাহার শিষ্য। অতএব আমি ধৰ্ম্মতঃ তোমার ভগিনী, আমারে এবম্বিধ বিগর্হিত বাক্য প্রয়োগ করা তোমার সমুচিত হয় না । দেখ, তোমার সহিত আমার যেরূপ সম্পর্ক, তাহাতে আমারে অদ্যান্য দুরাত্মার হস্তে রক্ষণ করা তোমার আবশ্বা কৰ্ত্তব্য । বিশেষতঃ মদীয় পিতা শুক্রদেব সাতিশয় কোপন ও রৌদ্রস্বভাব, তিনি জানিতে পারিলে এই মুহূর্তেই তোমারে ভস্মসাৎ করিবেন । তুমি জানিয়া শুনিয়াও