পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণশ্বিন, ১২৮৩ ] স্থৰ্য্য । S8S যাবতীয় পদার্থকে যেমন বিচিত্র বর্ণে চিত্রিত করিয়া জগতের শোভা,সম্পাদন করে, তেমনি আবার তাহার অমৃত স্বরূপ রশ্মি বিকীরণ করিয়া প্রত্যেক উদ্ভিদ ও প্রত্যেক প্রাণীর জীবন রক্ষণ ও পুষ্টিসাধন করে। বস্তুতঃ স্বর্য্যমণ্ডলের তেজঃ, জ্যোতিঃ, আকর্ষণ ও বৈদ্যুতাদিকী শক্তি পৃথিবীস্থ গতি মাত্রেরই কারণ। স্বৰ্য্য, মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি শুক্র ইত্যাদি গ্ৰহগণের কেন্দ্রীভূত । ইহ পৃথিবী হইতে প্রায় ৯২ কোটি মাইল ( অৰ্দ্ধক্রোশ) অন্তরে অবস্থিত। জ্যোতির্বিদ পণ্ডিতেরা নানা উপায়ে এই দূরত্ব নিরূপণ করিয়াছেন । যখন বুধগ্রহ, স্বর্ঘ্যের ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী হয়, তখন বুধকে স্বর্ষ্যের উপর দিয়া একটা কৃষ্ণবর্ণ চিহ্নের ন্যায় গমন করিতে দেখা যায়। স্বৰ্য্যমণ্ডলের এক পাশ্ব হইতে অপর পাশ্বে যাইতে যে সময় লাগে তাহ নিরূপণ করিতে পারিলে, স্বর্ঘ্যের দূরত্ব নুিরূপণ করা যাইতে পারে। e স্বর্ষ্যের ব্যাস প্রায় আট লক্ষ ষাটি হাজার মাইল । ইহা এত বৃহৎ যে তাহার গর্ভ মধ্যে পৃথিবীর তুল্যরূপ বৃহৎ প্রমাণ ১২ লক্ষ জীবলোক প্রবিষ্ট থাকিতে পারে। স্বৰ্য পৃথিবী অপেক্ষা আয়তনে ১২ লক্ষ গুণ বড় হইলে ও ঘনত্বে ৩২০,০০০ গুণ বড়। স্বর্ষের কিয় ংশ বাষ্পময় । দূরবীক্ষণ-যন্ত্র দ্বারা নিরীক্ষণ করিলে স্বর্ঘ্য পৃথিবীর ন্যায় গোলাকার ও উত্তর দক্ষিণ কিঞ্চিৎ চণপণ দেখায় । উক্ত যন্ত্র দ্বার দেখিলে চন্দ্রের কলঙ্কের ন্যায় স্বর্য্যমণ্ডলে অনেকগুলি কৃষ্ণবর্ণ চিহ্ন দৃষ্ট হয় । এই চিহ্নগুলি এইরূপে স্থান পরিবর্তন করে ষে, তাছাদিগের গতি হইতে জ্যোতির্বেত্তার স্থির করিয়াছেন যে, পৃথিবী যেমন স্বীয় অক্ষোপরি ঘূর্নিত হইতেছে, স্বৰ্য্যও সেই প্রকার আপন মেৰুদণ্ডের উপর ছাব্বিশ দিনে একবার ঘুরিতেছে। বিজ্ঞানবিদের ইহাও স্থির করিয়াছেন যে, স্বৰ্য্য স্বয়ং তাবৎ গ্রহ উপগ্রহাদি সঙ্গে করিয়া প্রতি ঘণ্টল ১৭,০০০ মাইল, একটা নক্ষত্রের দিকে প্রতিনিয়ত ধাবিত হইতেছে ।